আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে এ রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুপ্রিম কোর্ট কাজের ফেরার আর্জি জানালেও নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় আন্দোলনকারীরা। বিপর্যস্ত চিকিৎসা পরিষেবা। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজের ফেরার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে নরম সুরেই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কড়া বার্তা শুনিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পাল্টা মুখ খুলেছেন আন্দোলনকারীরাও।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘১৬ দিন হয়ে গেল। আজকেও জুনিয়র ডাক্তারদের মিছিল আছে। আমি চাই, তাঁরা ভাল করে করুক। আমার সমর্থন তাঁদের সঙ্গে আছে। কারণ,ওরা ওদের বন্ধুর মৃত্যুর বিচার চাইছে। সঙ্গে এটাও বলব, আপনারা তো মানবিক, মানুষকে সেবা দিতে অঙ্গীকার বদ্ধ। সুপ্রিমকোর্টও কাজে যোগ দিতে বলছে। অনেক মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে। এরা গরিব লোক। এরা কোথায় যাবে? একটা সন্তানসম্ভাবা মায়ের ডেলিভারি তো ডাক্তাররাই করে।’
ধর্ষকের শাস্তি ফাঁসি, ১০ দিনের মধ্যে বিল পাস বিধানসভায়! ঘোষণা মমতার
‘দিল্লির জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এফআইআরের কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টও কিন্তু সেদিন বলেছিল, টু টেক অ্যাকশন নিতে। কিন্তু আমি চাই না ওদের কারও বিরুদ্ধে স্টেপ নিতে। আমি চাই ওরা পড়াশোনা করুক, কারণ আমি যদি কারও বিরুদ্ধে এফআইআর করি তাহলে তার ভবিষ্যতটা নষ্ট হয়ে যাবে। সে আর কোথাও চান্স পাবে না। সে ভিসা পাবে না, পাসপোর্ট পাবে না।’
৭ বছরের অপেক্ষার অবসান! হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যাপক নিয়োগ শুরু এসএসসি-তে
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, আমরা আপনাদের ব্যবস্থা কোনও নিইনি, নেবও না। ক্ষোভ থাকতে পারে কিন্তু এবার কাজে যোগ দিন।’
বুধবার কলেজ স্ট্রিট থেকে স্যামবাজার পর্যন্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল ছিল। সেই ভিড় থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়াজ ওঠে, ‘আমাদের এফআইআরের ভয় দেখাবেন না। আমাদের যে দাবিগুলো রয়েছে তা না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
আতঙ্কে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, আরজি কর কাণ্ডে বললেন ‘এনাফ ইজ এনাফ’
অর্থাৎ আরজি করের ঘটনার ন্যায্য বিচার, দোষীদের পাঁসির সাজা ও হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারির পক্ষেই অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা।