বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য Anubrata Mondalএকাধিক ধারায় FIR দায়ের হয়েছে, দু’বার সমন পাঠানো হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই তিনি আইনজীবীদের পাঠিয়েছেন, নিজে হাজির হননি। এ অবস্থায়, পুলিশ কি ইচ্ছাকৃতভাবেই অনুব্রত মণ্ডলকে সাহায্য করছে? এমন প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।Anubrata Mondal
সম্প্রতি একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে শোনা যাচ্ছে, অনুব্রত বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোনে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন।Anubrata Mondalযদিও পরে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন, কিন্তু পুলিশের তলবে সাড়া দেননি। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, চিকিৎসক তাঁকে বেড রেস্টে থাকতে বলেছেন। প্রশ্ন উঠছে, শারীরিক অসুস্থতা কি বারবার আইনি প্রক্রিয়া থেকে রেহাই পাওয়ার ছুতো হয়ে উঠছেAnubrata Mondal
কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে এই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকারের অনুমতিAnubrata Mondalসাপেক্ষেই পুলিশ কাজ করে।” তাঁর মতে, সরকারের ইচ্ছা থাকলে অনুব্রতকে এখনই গ্রেফতার করা যেত। তিনি আরও বলেন, “আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়, অনুব্রত যেটা করেছেন সেটা অন্যায়। ওঁকে জেলে পাঠানো হয়েছিলAnubrata Mondalসংশোধনের জন্য। কিন্তু কী সংশোধন হল, সেটা আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি।”
প্রাক্তন এই পুলিশকর্তার মন্তব্য অনুযায়ী, পুলিশ হয়তো অনুব্রতকে আদালতে গিয়ে আগাম জামিন নেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। যদিও এটা সরাসরি পুলিশের সিদ্ধান্ত নয়,Anubrata Mondal সরকারের ইচ্ছানুযায়ী পুলিশের ভূমিকা নির্ধারিত হয়। এ কথার মধ্যে দিয়ে তিনি পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করেছেন, সরকার চাইলে পুলিশ আজই কড়া পদক্ষেপ নিতে পারত।
আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিনহা রায়ের বক্তব্যও তাৎপর্যপূর্ণ। তাঁর মতে, শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে একবার বা দু’বার হাজিরা এড়ানো যায়, তবে তা দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। বৈধ প্রেসক্রিপশন থাকলেও আদালত বেশিদিন এই যুক্তি মেনে নেয় না। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়—পুলিশ কেন কঠোর হচ্ছে না?
এই প্রসঙ্গে সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য না চাইলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ না করে থাকতে পারে পুলিশ। এমনকি গ্রেফতার না করেই চার্জশিট দিয়ে দেওয়ার Anubrata Mondalনজিরও আছে।” এতে পুলিশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা বার্তা যায়, রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা আইনের ঊর্ধ্বেAnubrata Mondal
তিনি আরও বলেন, “যদি আজই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হত, তাহলেAnubrata Mondalপুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হত। সাধারণ মানুষের মধ্যে যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি Anubrata Mondalহচ্ছে, তা অনেকটাই দূর হত।” এছাড়া, পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও একটা বার্তা যেত—পুলিশকে অপমান করলে বা পুলিশের পরিবারের সদস্যদের গালিগালাজ করলে তার শাস্তি হবেই।Anubrata Mondal
সবমিলিয়ে বলা যায়, অনুব্রত মণ্ডলকে Anubrata Mondalকেন্দ্র করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জেগেছে। প্রাক্তন পুলিশকর্তার মন্তব্য সেই প্রশ্নগুলোকে আরও জোরালো করেছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও প্রশাসন কতটা নিরপেক্ষভাবে আইন মেনে চলবে, নাকি রাজনৈতিক প্রভাবেই পিছিয়ে আসবেAnubrata Mondal
আইনের শাসন তখনই অর্থবহ হয়, যখনAnubrata Mondal তা সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা হয়—সাধারণ হোক কিংবা প্রভাবশালী। এখন সময়ই বলবে, অনুব্রতের ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়, নাকি আবারও প্রশ্ন থেকে যায় পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে।