নতুন সংসদ (Parliament) ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দূর্বলতা কতটা তা বুধবার দুই ব্যক্তির তথাকথিক ‘হামলায়’ প্রমানিত। এবার তদন্তে উঠে এসেছে এই হামলায় জড়িত এক জন্য পশ্চিমবঙ্গে বিরাট এনজিও চালায়। জেলায় জেলায় সেই সংস্থার নেটওয়ার্ক।
মহিশূরের বিজেপি সাংসদের ইস্যু করা পাস নিয়ে বুধবার লোকসভার অধিবেশনে দর্শক হয়ে ঢোকা দুই ব্যক্তি জঙ্গি নয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। ‘হামলা’য় জড়িতরা অধিবেশন কক্ষে হলুদ ধোঁয়া ছুঁড়ে প্রতিবাদ দেখান। তাদের ধরে ফেলেন বাকি সাংসদরা। তখন তারা বলেন ‘আমাদের মারবেন না’। আমরা সরকারি নীতির প্রতিবাদ করছি।
সেই ‘হামলা’য় জড়িত ললিত ঝা পশ্চিমবঙ্গের একটি NGO তে জড়িত। সেই সংস্থার নেটওয়ার্ক ছড়ানো জেলায়। মূল মাথা ললিত ঝার সঙ্গে বাংলা যোগ। এই বাংলার অনেক এনজিও-র সঙ্গে যুক্ত ললিত ঝা বলে জানা যাচ্ছে। একাধিক নেটওয়ার্ক রয়েছে এই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। জেলাস্তরে নেটওয়ার্ক তৈরি ললিতের। নেটওয়ার্ক তৈরির জন্যই একাধিক NGO। এই সংসদেই গতকালকে তাণ্ডব চালানো হয়, হঠাৎ করে দুই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে। যে দুই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে এই সমস্ত কিছুর পিছনে মূল মাথা ললিত ঝা। এবং এই মূল মাথার সঙ্গেই এই বাংলার যোগ রয়েছে।
সংসদে তাণ্ডবে অভিযুক্ত ললিত ঝা এবং নীলাক্ষ আইচ ললিতের সংগঠনের সদস্য। এই দুই ব্যক্তি রীতিমত সংসদে তাণ্ডবের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার মূল মাথা ললিত ঝা বা মাস্টারমাইন্ড বলেই মনে করা হচ্ছে। বাংলার একাধিক NGO-র সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এই ললিত ঝা এবং জেলাস্তরে সক্রিয় নেটওয়ার্ক, এবং এই নেটওয়ার্ক তৈরির জন্যেই একাধিক এনজিও। সেই এনজিও চালাত ললিত ঝা। জানা গিয়েছে যে জঙ্গলমহলে সক্রিয় সংগঠনের দায়িত্ব ললিতের। অর্থাৎ তার নামে একাধিক এনজিও রয়েছে এবং সেই এনজিও-কেই মূলত কাজে লাগানো হত, প্রাথমিকভাবে এই তথ্য উঠে এসেছে।