আরজি কর কাণ্ডে তিলোত্তমা এখনও সঠিক বিচার পায়নি৷ সুপ্রিম কোর্টে চলছে এই মামলার শুনানি৷ জুনিয়ার ডাক্তারদের সাত দফা দাবির মধ্যে কয়েকটি দাবি মানা হলেও এখনও বাকী রয়েছে বেশ কিছু দাবি৷ জুনিায়ার চিকিৎসকদের মধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি হল নিরাপত্তা বিষয়৷ এই বিষয়টি সমস্ত কিছুর আগে নজর দেওয়া দরকার৷ সেই কারণে যে কোনও পেশাতেই যুক্ত থাকা কর্মস্থলে সমস্ত মহিলাদের নিরাপত্তার দিক জোর দিতে এক মাস আগেই ১৭ দফা পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়েছিল নবান্নের তরফে।এই তালিকায় মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘রাত্তিরের সাথী (Rattirer Sathi)— হেল্পার অ্যাট নাইট’ চালুর বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হল।
কারণ বিভিন্ন হাসপাতালে নারী নিরাপত্তা নিয়েই উঠছিল বহু প্রশ্ন৷ গতকালই নবান্নে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে কলকাতা পুলিশের এলাকার ছ’টি সরকারি হাসপাতালকে এর আওতায় আনা হয়েছে।
রাজ্যপালের অনুমতিক্রমে কলকাতা পুলিশের এলাকার চারটি সরকারি হাসপাতাল একটি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং একটি জেলা হাসপাতালে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের মধ্যে পর্যবেক্ষণ,নজরদারি ও সমন্বয় গড়ে তুলতে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। প্রতিটি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকবেন এক জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার
সম্প্রতি নবান্নে তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে,গত দু’বছরের মধ্যে অবসর নেওয়া পুলিশ ইনস্পেক্টর থেকে এসপি৷ অবসর নিলেও যাঁরা এখনও কর্মঠ রয়েছেন তাঁরা শারীরিক ভাবে সমস্ত কাজে সক্ষম তাঁদেরেকেই এবং হাসপাতালগুলির নিরাপত্তার তদারকির কাজে নেওয়া হয়েছে৷ এই তালিকায় রয়েছে, সেনা অফিসার, নৌবাহিনীর অফিসার ছাডা়ও বায়ুসেনার অফিসাররাও৷ রাত্তিরের সাথী এই প্রকল্পে প্রথম দফায় শহরের ছ’টি হাসপাতালে চালু নিরাপত্তার দিক দেখা হবে৷
অনেকের মনে প্রশ্ন রয়েছে যে, এই অ্যাপে কী রয়েছে৷ সেই বিষয় নিয়ে সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে তৈরি রাত্রি সাথী একটি মোবাইল অ্যাপ। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়লে তৎক্ষণাৎ সাহায্যের জন্য এই অ্যাপ সহায়ক হবে মহিলাদের। রাতে যে সকল মহিলারা ডিউটি করেন তাঁদের সুরক্ষার জন্য এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মহিলারা যোগাযোগ করতে পারবেন পুলিশ কর্মী এবং নিরাপত্তারক্ষীদের।