Xmas: বড়দিনের ভিড়ে লুকিয়ে আছে করোনা, কলকাতায় ছড়াচ্ছে সংক্রমণ

করোনা বাড়ছে দেশে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও অবধি ৯ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সেই সংখ্যা বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।…

করোনা বাড়ছে দেশে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও অবধি ৯ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। সেই সংখ্যা বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। বৈঠকে রাজ্যজুড়ে করোনা পরিস্থিতির উপর নজরদারি আরও বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এ রাজ্যে এখনও অবধি ৯ জন করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে সংখ্যাটা আরও বেশি বলেই জানা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। এদের মধ্যে, বেলভিউতে ভর্তি রয়েছেন ২ জন। একজন মিডলটন রো ও অপর আক্রান্ত ভবানীপুরের বাসিন্দা। উডল্যান্ডসে ভর্তি রয়েছেন ভবানীপুরের আরেক বাসিন্দাও। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে কোভিড আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছে ৬ মাসের এক শিশু।

অন্যদিকে, আমরি হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় গত ৫ দিনে ৪ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এদের মধ্যে ২ জনের বাড়ি যাদবপুরে। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। আক্রান্তদের শরীরের করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট আছে কিনা তা জানতে জিনোম সিকুয়েন্সিং করা হচ্ছে।

কেন্দ্রের থেকে ইতিমধ্যেই কোভিড নিয়ে গাইডলাইন পাঠানো হয়েছে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। নবান্নেও এসেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সেই চিঠি।

মুম্বইতে গত কয়েকদিনে ৫০ জন করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে অন্তত ৯ জনের শরীরে করোনার নতুন উপপ্রজাতি জেএন.১ ভ্যারিয়ান্টের খোঁজ মিলেছে। কেন্দ্রের নির্দেশ মতো করোনা পরীক্ষার হার বাড়াতেই নিত্যদিন মিলছে আক্রান্তের খোঁজ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন আরও ৬ জন। এর মধ্যে তিনজন কেরলের, দুইজন কর্ণাটকের এবং একজন পাঞ্জাবের। স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর ঘটনাগুলো আবার আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন প্রজাতি খুব ছোঁয়াচে। তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়তে পারে। বড়দিন ও বর্ষবরণের উৎসবে এখন লোকজনের জমায়েত বেশি হবে। এই সময়েই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই ভিড় এড়িয়ে চলতে ও মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।