বারে মহিলাদের কাজের অনুমতি নিয়ে বিধানসভায় পাস হল বিল

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বুধবার গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়েছে যা মদের বারগুলিতে মহিলাদের কাজ করার অনুমতি প্রদান করবে। চলতি বছরের রাজ্যের অর্থ বিল, রাজ্যের…

West Bengal Assembly

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বুধবার গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ হয়েছে যা মদের বারগুলিতে মহিলাদের কাজ করার অনুমতি প্রদান করবে। চলতি বছরের রাজ্যের অর্থ বিল, রাজ্যের রাজস্বমন্ত্রী চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য বিধানসভায় উপস্থাপন করেন। এই বিলটির মাধ্যমে বাঙালি মদ আইনের সংশোধন করা হয়েছে যাতে “ওএন ক্যাটেগরি” মদের দোকানে মহিলাদের কাজ করার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যায়। পূর্বে এই বিধানটি নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, যা এই নতুন বিলে সংশোধন করা হয়েছে। 

চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য বিলটি উপস্থাপনকালে জানান, “এই বিলটির মাধ্যমে মহিলাদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান উন্নত করবে এবং সমতার দিকে একধাপ এগিয়ে যাবে।” এছাড়াও তিনি বলেছিলেন যে, রাজ্য সরকার জাগরি (গুড়) ইত্যাদি মৌলিক উপকরণ বিতরণে নিয়ন্ত্রণ করবে, যাতে অবৈধ মদ উৎপাদন বন্ধ করা যায়।

   

মদের দোকানের মধ্যে মহিলাদের কাজের সুযোগ:

পূর্বে, “ওএন” বা ‘অন’ ক্যাটেগরি প্রতিষ্ঠানে মদ খাওয়ার সুযোগ ছিল, তবে সেখানে মহিলাদের কাজ করার অনুমতি ছিল না। এই নতুন সংশোধনীর মাধ্যমে মহিলাদের জন্য একটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই উদ্যোগটি বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে আরও সমান সুযোগ তৈরি করবে, যা রাজ্য সরকারের নারী ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্য পূরণে সহায়ক হবে।

তথ্য ও পরিসংখ্যান:

বিলটি রাজ্য সরকারকে অঙ্গীকার করেছে যে, তারা জাগরি ও অন্যান্য জরুরি উপকরণের সঠিক বিতরণ পরিচালনা করবে, যাতে অবৈধ মদ উৎপাদন রোধ করা যায়। চন্দ্রীমা ভট্টাচার্য জানালেন, এই বিলে রাজ্য সরকারকে মদ তৈরির উপকরণের উপর নজরদারি করার জন্য বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হবে।

চা বাগানের জন্য কর ছাড়:

বিলটি বেঙ্গল কৃষি আয়ের কর আইন, ১৯৪৪-এ সংশোধন আনবে, যার ফলে কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত ছোট চা বাগানগুলো কর ছাড় পাবে। এর মাধ্যমে রাজ্য সরকারের লক্ষ্য হবে চা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং এই খাতের ছোট চা বাগানগুলোর অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটানো।

রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, বর্তমান প্রণোদনা স্কিম ২০০১-০২ সালের পুরনো বিধি অনুযায়ী চালু ছিল এবং তা কার্যকরীভাবে চালানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই নতুন যুগের উপযোগী একটি স্কিম তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০০১ সালের সিপিএম সরকারের সময় যে জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল, সেই জমির জন্য সরকারের পক্ষে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।

বিধানসভায় পাশ হওয়া এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিল রাজ্য সরকারের নানা ক্ষেত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মহিলাদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি, চা শিল্পের জন্য কর ছাড় এবং অবৈধ মদ উৎপাদন রোধের উদ্যোগ গুলি রাজ্যবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।