এক ধাক্কায় অনেকটাই পারদ (Temperature) পতন হল বঙ্গে। বৃহস্পতিবারই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ঝঞ্ঝা কাটার ফলে রাত থেকে বঙ্গের তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করবে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এমনকি কোথাও কোনওরকম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রথম দিন হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিঙে । সেইসঙ্গে হতে পারে তুষারপাত।
জানা গিয়েছে, আগামী তিন দিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমবে। কলকাতায় তাপমাত্রা আবারও ১২ ডিগ্রিতে নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই শীতের আমেজের মেয়াদ বড়জোর দু থেকে তিনদিন। কারণ ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকের আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। তার ফলে আবারও বাড়বে তাপমাত্রা। এমনকি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সরস্বতী পুজোতেও।
এদিকে রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারত শৈত্যপ্রবাহের জেরে থরহরি কম্প। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া এমনই থাকতে চলেছে। সকাল-সন্ধ্যা উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ একাধিক রাজ্যে কুয়াশার জেরে সমস্যায় পড়তে হবে মানুষকে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জানা গিয়েছে,মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সঙ্গে চণ্ডীগড়ের আবহাওয়াও ঠান্ডা থাকবে। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। কুয়াশার দাপট দেখা যাবে এখানেও।