আজ থেকেই হাওয়া অফিসের খবর খবর অনুযায়ী, আবহাওয়ার (Weather update ) বিরাট পরিবর্তন ঘটবে। সকাল থেকেই ঠান্ডার আমেজ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ তবে মঙ্গল ও বুধবার, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা (Weather update ) রয়েছে। কলকাতাতেও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকতে পারে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকতে পারে, এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather update ) ২৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ, ৪ নভেম্বর ২০২৪, কিছু অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টি, বজ্রপাত ও বিজলী চমকানো হতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ভারতবর্ষের বেশ কিছু অঞ্চলে অস্থির আবহাওয়া চলবে এবং বিশেষ করে দক্ষিণ ভারত, উত্তর ভারতের কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে তাপমাত্রার ওঠানামাও লক্ষ্য করা যাবে, যা বাংলাদেশের আবহাওয়াকেও প্রভাবিত করতে পারে। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের এবং আগামী
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে এই মুহূর্তে প্রচুর বৃষ্টি হতে পারে। কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, করাইকাল, দক্ষিণাঞ্চলীয় কর্ণাটক এবং মহে অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষত ৫ ও ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরির কিছু অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে চলতে থাকা বৃষ্টির কারণে শীতকালীন আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পাবে। এই পরিস্থিতিতে চালকরা এবং যাত্রীদের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে কারণ বজ্রপাত ও বিজলী চমকানো ক্ষতিকর হতে পারে।
নভেম্বরের ৪ তারিখে উত্তরপ্রদেশের উত্তরাঞ্চলে এবং দিল্লি অঞ্চলে মৃদু কুয়াশার পূর্বাভাস রয়েছে। ভোরবেলা এবং সন্ধ্যার পর, তীব্র কুয়াশার কারণে শীত অনুভূত হতে পারে এবং যান চলাচলেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। দিল্লির আবহাওয়া বিভাগ জানায় যে, আজকের জন্য আকাশ পরিষ্কার থাকবে, তবে মাঝে মাঝে হালকা কুয়াশা এবং শালীন তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে, উত্তর ও মধ্য ভারতের তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন অপরিবর্তিত থাকবে। তাছাড়া, এই সময়কালীন আবহাওয়া অল্প ঠান্ডা বা শীতল অনুভূতির মধ্যে থাকবে, বিশেষত রাতের দিকে। দিনের বেলায় তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে।
পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষত ত্রিপুরা, মিজোরাম, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরে। ৫ ও ৬ নভেম্বর, এই অঞ্চলে বজ্রপাতের সঙ্গে বৃষ্টিপাত হতে পারে। আকাশে মেঘের পরিমাণ বাড়তে পারে এবং ঝড়ো হাওয়াও বয়ে যেতে পারে। এর ফলে ওই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য কিছু সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ ভারী বৃষ্টির কারণে মাঠের ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অপরদিকে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ৫ ও ৬ নভেম্বর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটি ঐ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য কিছুটা বিপদজনক হতে পারে, কারণ শক্তিশালী বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসের কারণে সমুদ্রের জলে উত্তাল ঢেউ দেখা দিতে পারে। সাগরপথে যাত্রীদের জন্য চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে, কারণ তীব্র ঝড়ের মধ্যে সাঁতার কাটা বা নৌযান চলাচল অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।
মেঘালয়ে আগামী কয়েকদিনে শীতল আবহাওয়া চলবে। যদিও বৃষ্টি এবং বজ্রপাতের কারণে কিছু সময় ঠান্ডা অনুভূতি হবে, তবে শীতকালীন আবহাওয়ার দাপট বৃদ্ধি পাবে। কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যেতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শীত বস্ত্রের প্রয়োজন বাড়বে।