বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে শাকসবজির দাম (Vegetable Price) কেমন চলছে, তা জানানো দরকার। শীতকালীন সবজির (Vegetable Price) মধ্যে পেঁয়াজ, আলু, টমেটো, শিমলা মরিচ ইত্যাদি জনপ্রিয়। এগুলোর দাম বিভিন্ন কারণে ওঠানামা করে। যেমন, গত মাসে পেঁয়াজের দাম (Vegetable Price) ছিল ২০-২৫ টাকা প্রতি কেজি, যা এখন বেড়ে ৩০-৩৫ টাকায় পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, শীতকালে উৎপাদন করা সবজি যেমন ফুলকপি এবং গাজর, তারা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও আলুর দামও বাজারে (Vegetable Price) পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায়, কৃষক এবং ভোক্তাদের মধ্যে একটি বিরোধ দেখা দিতে পারে, যেখানে কৃষক দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং ভোক্তারা কম দামে কেনার চেষ্টা করেন। শাকসবজির দাম (Vegetable Price) বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ে। গাজর সেখানে প্রায় ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি তো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন করে জমিতে ফলন না হলে জোগান বাড়বে না সবজির। আর তা না হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না।
বাজারে বেগুনের দাম (Vegetable Price) ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, এবং চিড়ের দাম ২০০ টাকা প্রতি কিলোগ্রামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও, অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ক্যাপসিকাম, সবুজ মটরশুঁটির দামও (Vegetable Price) বেড়ে গেছে, যা স্থানীয় সরবরাহের উপর প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি কলকাতায় বিন্সের দাম ইতিমধ্যেই ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো দরে।
বিশাখাপত্তনমে কর্থিকা মাসের আগমন এবং সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবজি দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এই ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক পরিবারই তাদের দৈনন্দিন খাদ্য বাজেটের সাথে লড়াই করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষত এই মাসে যেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মাংস থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেন, সেখানে সবজির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হয়ে উঠেছে।
বিশাখাপত্তনমের ইয়াসিন, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে প্রধান কারণ হলো সাম্প্রতিক বন্যা, যা অনেক সবজি ফসলকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এই বন্যার ফলে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব সরাসরি ভোক্তাদের উপর পড়ছে।
বিশাখাপত্তনমে প্রায় প্রতিদিনই নতুন দাম নির্ধারিত হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সোমবার পর্যন্ত টমেটোর খুচরা মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৪২ টাকা, এবং রাইথু বাজারে এর দাম ছিল ৩৮ টাকা। অন্যদিকে, বেগুনের দাম ছিল ৪০ থেকে ৫২ টাকা প্রতি কেজি, এবং ঢেঁড়স (লেডি ফিঙ্গার) খুচরা বাজারে ৩২টাকা কেজি এবং রাইথু বাজারে ২৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।