দশকের শীতলতম অক্টোবর দেখেছে রাজ্যবাসী। আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতো শনিবার শেষেই পারা পতন হয়েছে বঙ্গে। এক ধাক্কায় পারদ নামল ১৯ ডিগ্রির নিচে। রবিবার রাত থেকেই ভালো মতো শীত টের পাচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। ছুটির দিনে, তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় হেমন্তে শীতের আমেজ কানায় কানায় উপভোগ করছে রাজ্যবাসি। এক ধাক্কায় এতটা পারা পতন। তবে কি আবারও পারা পতন ঘটবে? হাড় কাঁপানো শীত কি তবে দোড়গোড়ায়? আলিপুর আবহাওয়া(Weather forecast) দফতরের পূর্বাভাস কি বলছে।
চলতি বছর প্রথমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামলো ১৯ ডিগ্রির নিচে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রির মধ্যে। আপাতত বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী দিন কয়েক তাপমাত্রার বিশেষ কোন হেরফের হবে না। বরং আগামী বেশ কয়েকদিন রাত্রের দিকে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে হালার শীত ঠিক কবে পড়বে তা নিয়ে কিছু স্পষ্ট করে বলেনি হাওয়া অফিস। খুব সম্ভবত, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জাতীয় শীত পড়তে পারে।
আজ রবিবার কলকাতার পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও এক ধাক্কায় অনেকটা পারদ নেমেছে। পাহাড়ের তাপমাত্রা নামছে তরতড়িয়ে। দার্জিলিং এর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ৮ ডিগ্রিতে। কালিম্পং এর তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি। আসানসোলের তাপমাত্রা কমেছে বেশ অনেকটাই, আজকের তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি। শান্তিনিকেতন তাপমাত্রা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ১৫.৯ ডিগ্রি, বর্ধমানের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি ও কোচবিহারের তাপমাত্রা ,১৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।