গুজরাত রাজ্যে শাকসবজির বাজারে সম্প্রতি কিছু আকর্ষণীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। শীতকালীন শাকসবজির ফলন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বেশ কিছু শাকসবজির দাম (vegetable price) কমেছে, তবে কিছু পণ্যের দাম এখনও অনেক বেশি রয়ে গেছে।
বিশেষ করে, আজকের বাজারে পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম (vegetable price) রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গুজরাতের শাকসবজি বাজারের (vegetable price) বর্তমান পরিস্থিতি এবং দাম সংক্রান্ত তথ্য।
গুজরাতের বাজারে পেঁয়াজের দাম (vegetable price) বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি পৌঁছেছে, যা গত কয়েক মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এটি গৃহস্থালী বাজেটের জন্য বড় একটি চাপ তৈরি করেছে। বিশেষত, পেঁয়াজের উচ্চ মূল্য(vegetable price) অনেক রান্নাঘরের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে শস্যের সংকট এবং শীতকালীন মৌসুমে সরবরাহ কমে যাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে।
টমেটোও বর্তমানে ১০০ টাকা (vegetable price) কেজি বিক্রি হচ্ছে। এটি গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্য হতে পারে। শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহ বাড়লেও টমেটোর দাম নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অনেক ক্ষেত্রেই কৃষকদের জন্য অল্প পরিমাণে ফলন হচ্ছে এবং বাজারে চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে, কিছু শাকসবজির দাম (vegetable price) কমে এসেছে। উদাহরণস্বরূপ, শীতকালীন শাকসবজি যেমন টুভের, গুয়ার, সেকতানি সিং, পাপড়ি এবং চোলি, রিংণ, দুধি ইত্যাদির দাম সাম্প্রতিক সময়ের তুলনায় কমেছে। বিশেষ করে, শীতকালীন শাকসবজির মৌসুম শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে।
গুজরাতে আজকের বাজারের শাকসবজির দাম (vegetable price):
আলু – ৪০ টাকা কেজি
পেঁয়াজ – ১০০ টাকা কেজি
শাক – ১৪৫ টাকা কেজি
রবেগুন – ১২০ টাকা কেজি
বাঁধাকপি – ৪০ টাকা কেজি
ফুলকপি – ৪৫ টাকা কেজি
ওয়ালোর – ৯০ টাকা কেজি
টমেটো – ১০০ টাকা কেজি
শশ – ২২০ টাকা কেজি
মটর – ১৫০ টাকা কেজি
ছোলা – ২২০ টাকা কেজি
শাঁক – ৭০ টাকা কেজি
কাঁচা আম – ১৫০ টাকা কেজি
শশা – ৩৫ টাকা কেজি
মরিচ – ৫০ টাকা কেজি
লেবু – ১৪০ টাকা কেজি
আদু – ১৩০ টাকা কেজি
বিট – ৩৫ টাকা কেজি
কুমড়ো – ১১০ টাকা কেজি
গাজর – ২০ টাকা কেজি
মেথী – ৫০ টাকা কেজি
বাদাম – ২০ টাকা কেজি
ধনিয়া – ২০ টাকা কেজি
পুদিনা – ২০ টাকা কেজি
পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং সরবরাহের ঘাটতি। বিশেষত, শীতকালীন সময়ের আগমনে কিছু শাকসবজির ফলন কমেছে এবং কৃষকদের অল্প ফলনের কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে, যা দাম বাড়াতে সাহায্য করেছে।