লাগামছাড়া আনাজের দামে পকেটে টান আমজনতার

যতদিন যাচ্ছে, হুরহুর করে বাড়ছে সমস্ত সবজির দাম (Vegetable Price)। এখন বাজারে যা পরিস্থিতি তাতে সবজি কিনতে গিয়ে কার্যত ছেঁকা খাচ্ছে ক্রেতারা। সেইসঙ্গে নিত্যদিনের সবজি…

vegetable price increase

যতদিন যাচ্ছে, হুরহুর করে বাড়ছে সমস্ত সবজির দাম (Vegetable Price)। এখন বাজারে যা পরিস্থিতি তাতে সবজি কিনতে গিয়ে কার্যত ছেঁকা খাচ্ছে ক্রেতারা। সেইসঙ্গে নিত্যদিনের সবজি কিনতে গিয়ে পকেটে টানও পড়ছে সাধারণ মানুষের। কিন্তু এর পেছনে বিভিন্ন জেলায় টানা কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি বিভিন্ন জলাধার থেকে ডিভিসির জল ছাড়া যে অন্যতম কারণ তা এখন সকলেরই জানা।

তবে পুজোর আগে দিনেদিনে যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছে আনাজের দাম সেইদিক থেকে বুধবারের বাজারে সবজির দামে কতটা পরিবর্তন হল তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক। পটল, ঢেঁড়স, বেগুন, ঝিঙে, আলু, আদা থেকে শুরু করে প্রতিদিনের বেশিরভাগ সবজি কিনতে গিয়ে দাম দেখে মাথায় পড়ছে আমজনতার। বুধবারের বাজারে কেজি প্রতি বেগুন ৯০-১০০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা, আদা ২৫০-৩০০ টাকা, রসুন ৩৫০ টাকা।

আলু ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ৭০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৭০ টাকা, লঙ্কা ১০০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, বিনস ১৫০ টাকা ও ক্যাপসিকাম ১৫০ টাকা। এছাড়াও কুমড়ো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো দরে। পু্ঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পটল, চিচিঙ্গা, কচু ও ঝিঙের দাম প্রায় এক। ৬০-৭০ টাকার মধ্যে রয়েছে কাঁকরোল। এদিকে ভালো সাইজের ফুলকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।

বাঁধাকপি এক কিলো মিলছে ৬০ টাকায়। রসুন যেমন ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। তেমনি কোথাও ১০০ টাকার নীচে মিলছে না বেগুন। সবমিলিয়ে বলতে গেলে কোনও আনাজই পাওয়া যাচ্ছে না ৬০ টাকার নীচে। দক্ষিণের গড়িয়াহাট বাজার, লেক মার্কেট থেকে শুরু করে উত্তরের মানিকতলা বাজার বা শোভাবাজার বাজারের চিত্রটা ঠিক একই রকম। আবার বাঁকুড়ায় সব আনাজের দাম প্রায় কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরে রসুনের দাম পৌঁছেছে ৩৫০ টাকা কেজিতে।

Advertisements

দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় রসুন পাওয়া যাচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা কেজি দরে। আবার কোথাও আদা পাওয়া যাচ্ছে ১৮০ টাকা কেজিতে তো কোথাও আবার পাওয়া যাচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। বর্তমানে বাজারের যা পরিস্থিতি তাতে প্রতিদিন বাজারে গিয়ে দাম শুনে কার্যত চোখ কপালে উঠছে সাধারণ মানুষের। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে। যার জন্য চড়া হচ্ছে সবজির দাম।

কিন্তু তাঁদের এই যুক্তি মানতে রাজি নয় রাজ্য সরকার গঠিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্স। রাজ্য টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের দাবি, সম্প্রতি আরামবাগ ও ঘাটালে বন্যার জন্য যে সব এলাকার ফসল নষ্ট হয়েছে তার কোপ কলকাতার বাজারে পড়ার কথা নয়। কারণ কলকাতায় আনাজ আসে দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং হাওড়া থেকে। আর সেখানে যা বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।