শীতের শুরুতেই কমল এই সমস্ত সবজির দাম, মুখে হাসি ক্রেতা থেকে বিক্রেতার

শীতকালে উৎপাদন করা সবজি যেমন ফুলকপি এবং গাজর, তারা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও আলুর দামও বাজারে (Vegetable Price) পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায়, কৃষক…

Adding Ginger to Tea Gets Costlier: Vegetable Prices Surge, Check Today’s Rates

শীতকালে উৎপাদন করা সবজি যেমন ফুলকপি এবং গাজর, তারা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও আলুর দামও বাজারে (Vegetable Price) পরিবর্তিত হচ্ছে। এই অবস্থায়, কৃষক এবং ভোক্তাদের মধ্যে একটি বিরোধ দেখা দিতে পারে, যেখানে কৃষক দাম বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং ভোক্তারা কম দামে কেনার চেষ্টা করেন।

শাকসবজির দাম (Vegetable Price) বাড়লে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব পড়ে। গাজর সেখানে প্রায় ৮০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি তো ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন করে জমিতে ফলন না হলে জোগান বাড়বে না সবজির। আর তা না হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে না।

   

বাজারে বেগুনের দাম (Vegetable Price) ১২০ টাকা, পটল ১০০ টাকা, এবং চিড়ের দাম ২০০ টাকা প্রতি কিলোগ্রামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও, অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা ক্যাপসিকাম, সবুজ মটরশুঁটির দামও (Vegetable Price) বেড়ে গেছে, যা স্থানীয় সরবরাহের উপর প্রভাব ফেলেছে। পাশাপাশি কলকাতায় বিন্সের দাম ইতিমধ্যেই ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছে। বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কিলো দরে।

চেন্নাইয়ের কোয়াম্বেডু পাইকারি বাজারে মঙ্গলবার সবজির দাম নিয়ে কিছু অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেল। চলতি মাসে বিভিন্ন শাকসবজির দাম কিছুটা কমেছে, আবার কিছু সবজির দাম বেড়েও গেছে। সাধারণত, মৌসুমী পরিবর্তন, পরিবহন সমস্যা, এবং জলবায়ু পরিস্থিতি এসব কারণই সবজি বাজারের দামে ওঠানামা ঘটানোর জন্য দায়ী। তবে, গত ৩ নভেম্বর থেকে আজকের (৫ নভেম্বর) পরিস্থিতি অনুযায়ী, কিছু সবজি যেমন মটরশুঁটি এবং শিমের দাম কমেছে, আবার কিছু সবজির দাম বেড়েছে।

মটরশুঁটি ও শিমের দাম এই সপ্তাহে বেশ কমেছে। ৩ নভেম্বর, মটরশুঁটির দাম ছিল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, তবে আজকের (৫ নভেম্বর) বাজারে তা কমে ৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, শিমের দামও ৫৫ টাকা থেকে ৪৫ টাকায় নেমে এসেছে। এই দামের কমার পেছনে মূলত আবাদি জমিতে মটরশুঁটি ও শিমের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং পরিবহন সুবিধার উন্নতি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া, কয়েকটি রাজ্য থেকে নতুন শিম ও মটরশুঁটি আসার ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে, যা দাম কমানোর প্রধান কারণ।

এছাড়াও, সবুজ মিষ্টি মরিচের দামেও বড় ধরনের পতন ঘটেছে। ৩ নভেম্বর, প্রতি কেজি মরিচের দাম ছিল ৮০ টাকা, কিন্তু মঙ্গলবার তা কমে ৬০ টাকায় নেমে এসেছে। দাম কমার অন্যতম কারণ হিসেবে চাষের বৃদ্ধি এবং ভোক্তার চাহিদায় সাময়িক হ্রাস প্রভাব ফেলেছে। বাজারে নতুন মরিচের সরবরাহও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে দাম কমে এসেছে। এই ধরনের মৌসুমী পরিবর্তনের কারণে মিষ্টি মরিচের দাম হঠাৎ পতিত হয়, যা সাধারণত কয়েকদিন পর আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এদিকে, কিছু সবজির দাম বেড়েছে। যেমন, টমেটোর দাম গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা কেজি হয়েছে। এতে সরবরাহের ঘাটতি এবং পরিবহন খরচের বৃদ্ধি প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে, আলুর দামও কিছুটা বেড়েছে, ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায় চলে গেছে। তবে, মিষ্টি কুমড়ো ও পটল এখনও যথেষ্ট স্থিতিশীল দামে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা দরে।