ওড়িশা উপকূলে ল্যান্ড করেছে ঘূর্ণিঝড় দানা৷ যার প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারেও(Vegetable Price)৷ বিক্রেতাদের মতে,পুজোর আগে প্রবল বৃষ্টির ফলে আনাজের (Vegetable Price) চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে বাজারে আনাজের (Vegetable Price) সরবরাহ কমেছে,যা দাম বাড়ানোর জন্য একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর এই মুহূর্তে দানার প্রভাবে বাজার আগুন৷ হাত দেওয়া যাচ্ছে না সবজিতে৷ আদা, রসুন এবং লঙ্কার দামও বাড়ছে। আদা ১২০-২০০ টাকা, কাঁচালঙ্কা ১৫০-২২০ টাকা, রসুন ৩৫০-৪২০ টাকা, এবং ধনেপাতা ২৮০-৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই পরিস্থিতি ক্রেতাদের জন্য এক বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি করেছে।
সামনে কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা। সেই সময় ফের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কায় বাজারে কোনও কিছুতেই হাত দেওয়া দায় মধ্যবিত্তের। কলকাতার বাজারে শুক্রবার, কেজি প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ৩০-৩২ টাকা, চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৫০-৫৫ টাকা, পটল ১০০ টাকা, ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা পিস, টম্যাটো ১০০-১২০ টাকা, বেগুন ৯০-১১০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫-৫৫ টাকা, কচু ৪৫-৫৫ টাকা, কুমড়ো ২৫-৩৫ টাকা, গাজর ৮০-১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷
ফলের বাজারও ছিল বেশ চড়া। আপেল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকায়, বেদানা ২৫০-৩০০, নাশপাতি ১৫০-২০০, পেয়ারা ও শশা ৬০-৮০। শাঁখ আলু ১০০ টাকা, পানিফল ৬০-৮০, বাতাবি লেবু ২৫-৩০ টাকা কেজি৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, বিভিন্ন বাজারে সকাল থেকে সবজি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ভিড় জমেছে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আছড়ে পড়ার পর সবজির দাম আরও বাড়তে পারে, এই আশঙ্কায় আগেভাগেই কেনাকাটা সারছেন সাধারণ মানুষ।
কলকাতার বাজারে দেখা গিয়েছে, কেজি প্রতি জ্যোতি আলুর দাম ২৮-৩০ টাকা, চন্দ্রমুখী আলুর দাম ৪৫-৫০ টাকা, পটল ৮০-১০০ টাকা, ফুলকপি ৪৫-৫৫ টাকা, টমেটো ৮০-১২০ টাকা, বেগুন ৯০-১১০ টাকা, বাঁধাকপি ৪৫-৫৫ টাকা, কচু ৪৫-৫৫ টাকা, কুমড়ো ২৫-৩৫ টাকা, গাজর ৮০-১১০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।