প্রভাবশালী না হওয়া সত্ত্বেও কেন জামিনে বাঁধা? হাইকোর্টে প্রশ্ন পার্থর আইনজীবীর

সম্প্রতি পুজোর আগে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন এককালে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়া অনুব্রত বীরভূমে ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরছেন।…

Why is there a bail restriction despite not being influential? Question raised by Partha Chatterjee lawyer in the High Court

সম্প্রতি পুজোর আগে জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন এককালে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়া অনুব্রত বীরভূমে ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরছেন। তবে এবার শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে উঠেছিল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের মামলা।

আজ তাঁর জামিন খারিজ করে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রাখা হয়েছে আগামী ৩ অক্টোবর। শুক্রবার হাই কোর্টে পার্থর জামিনের মামলায় উঠে এল সদ্য জামিন পাওয়া অনুব্রত মন্ডলের নাম। এতদিন ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, অভিযুক্ত যেহেতু প্রভাবশালী তাই তিনি জামিনে মুক্তি পেলে সাক্ষীদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন।

   

এমনকি তথ্যপ্রমাণও নষ্ট করতে পারেন। কিন্তু এদিন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানির সময় সিবিআইয়ের যুক্তি নাকচ করে দেন পার্থের আইনজীবী। সেই যুক্তি নাকচ করে হাই কোর্টে পার্থর আইনজীবী প্রশ্ন তুলে জানিয়েছেন, বিভিন্ন মামলায় কেজরীওয়াল, মনীশ সিসোদিয়া, অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হয়েছিলেন।

তাঁদের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরা গ্রেফতার হওয়ার পরেও জামিন পেয়েছেন। এমনকি জামিন পাওয়ার পর তাঁরা এখনও প্রভাবশালী। সেখানে পার্থ প্রভাবশালী না হওয়ার পরেও কেন তিনি জামিন পাবেন না? সেইসঙ্গে পার্থর আইনজীবী জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন আগের মতন আর প্রভাবশালী নন। আর তিনি এখন আর মন্ত্রীও নেই। এমনকি কোনও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাও আর তাঁর পাশে নেই।

তাই তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে যে ‘প্রভাবশালী’ তকমা ব্যবহার করা করা হচ্ছে সেটা সত্য নয় বলেই মনে করেন পার্থ ও তাঁর আইনজীবী। এদিকে শুক্রবার সিবিআইয়ের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। কারণ নিয়োগ মামলায় লিখিত আকারে বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। কিন্তু এদিন আদালতে তা জমা দিতে না পারায় ভৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই।

জানা গেছে, বাড়তি সময় চেয়ে আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত লিখিত আকারে বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রসঙ্গত, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও সুবীরেশ ভট্টাচার্য, শান্তিপ্রসাদ সিংহ, অপূর্ব সাহাদের মতো রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষাকর্তাদের জামিনের মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে।