বর্ষায় অতিবৃষ্টি নতুন কিছু নয়, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের কিছু অংশে জল জমেছে, যদিও বড় মাপের প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি অধিকাংশ এলাকায়। তবু কৃষির উপর এর প্রভাব পড়েছে স্পষ্ট।
ফসলি জমিতে জল দাঁড়িয়ে থাকার কারণে অনেক আনাজের ফলন মার খেয়েছে। হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর – এই জেলাগুলোর বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকায় ফসলের ক্ষতির খবর মিলছে। এরই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে শহরের বাজারে।
কলকাতার বাজারে এখন গাঁটি কচুর কেজি প্রতি দাম ৭০-৮০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সাধারণত বর্ষায় দাম বাড়ে ঠিকই, তবে এ বছর তা হাফ সেঞ্চুরি পার করে যাচ্ছে প্রতিদিন। কচু ছাড়াও ওলের দাম ৯০-১০০ টাকা কেজিতে উঠে গিয়েছে। বেগুনের ক্ষেত্রেও একই চিত্র – অনেক বাজারে তার দাম ১০০ টাকাও পেরিয়ে গিয়েছে।
যদিও এখনই পটল, ঢেঁড়স, লাউয়ের মতো আনাজের দাম সেভাবে বাড়েনি, কিন্তু ব্যবসায়ীদের ধারণা, আগামী দিনে তাও নাগালের বাইরে যেতে পারে। কারণ, এখন চাষের যে ক্ষতি হয়েছে, তার প্রভাব আসন্ন সরবরাহে পড়বে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, “পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যেভাবে মাঠ ডুবে রয়েছে, তাতে আগামী সপ্তাহ দুয়েক পর থেকেই বাজারে আনাজের জোগান কমে যাবে। তখন দাম আরও বাড়বে।”
একজন মধ্যবিত্ত গৃহবধূর কথায়, “রোজকার বাজার করতে গিয়ে বুঝতে পারছি, সব কিছুর দাম যেন মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। যে কচু বা বেগুন এক সময়ে ৩০-৪০ টাকায় মিলত, এখন তা প্রায় তিনগুণ।”