বাংলা বলায় “পাকিস্তানি” তকমা, বাজার করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার বৃদ্ধা সহ মহিলারা

সমস্যার সূত্রপাত শপিং-কে কেন্দ্র করে। অপরাধ, তাঁরা বাংলাই জানতেন, বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে তাঁদের হিন্দি বলতে বা বুঝতে না পারাটাই ছিল মস্ত অপরাধ। যার জেরেই এবার…

incident

সমস্যার সূত্রপাত শপিং-কে কেন্দ্র করে। অপরাধ, তাঁরা বাংলাই জানতেন, বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে তাঁদের হিন্দি বলতে বা বুঝতে না পারাটাই ছিল মস্ত অপরাধ। যার জেরেই এবার রীতিমত হেনস্থার শিকার হতে হয় এক বৃদ্ধা ও তাঁর সঙ্গে থাকা বাঙালি মহিলাদের। চোখ রাঙানো থেকে শুরু করে টাকার ব্যাগ ছিনতাই, বাদ পড়েনি কিছুই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা দুই বাঙালি মহিলা, ফতেমা আক্তার ও তার শাশুড়ি রোকেয়া বিবি বাজার করতে বড়বাজারে গিয়েছিলেন, আনুরাগ টেক্সটাইল-এ পা রাখতেই হল এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা।

ক্রেতা দোকানে পা রাখতেই বিক্রেতা অনুরাগ আগরওয়াল হিন্দিতে কথা বলে ওঠেন। দুই মহিলা কিছুতেই তা বুঝতে না পারায় অনুরোধ করেন বাংলায় কথা বলতে। এতেই বেজায় চটে যান বিক্রেতা। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তিনি বাংলা বলবেন না, বরং যারা বাঙালি তাদের ভারতে থাকতে গেলে জানতে ও শিখতে হবে হিন্দি। নয়তো চলে যেতে হবে পাকিস্তান।

এখানেই শেষ নয়৷ অভিযোগ, এরপর ওই বহিরাগত বাংলার বাঙালি নারী ২ জনের গায়ে হাত দেয়, টাকার ব্যাগ কেড়ে নেয়, মোবাইল ছিনতাই করার চেষ্টা করে, অশ্লীল গালাগালি দেয়, শরীর ধরে টানাটানি করে এবং বলপূর্বক বাঙালি বৃদ্ধাকে আটক করে রাখে। এই সময়ে বিচক্ষণ বাঙালি বউমা ফতেমা আক্তার বাংলা পক্ষর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা অফিসে সাথে ফোনে যোগাযোগ করে। সঙ্গে সঙ্গে বাংলা পক্ষর তীব্র সক্রিয়তায় এবং বড়বাজার থানার পুলিশের সহযোগিতায় বহিরাগত পুরুষ দ্বারা বড়বাজারে বলপূর্বক আটক বাঙালি নারীকে উদ্ধার করা হয়। 

news

অভিযোগ জমা করার পর এই দুই বাঙালি নারী বড়বাজার থানার পুলিশের দেওয়া নিরাপত্তা রক্ষী সহ নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়। বাংলা পক্ষর সহযোদ্ধা রাজা ঘোষের নেতৃত্বে বাংলা পক্ষর সহযোদ্ধারা এই পুরো প্রক্রিয়ায় আক্রান্ত বাঙালি নারীদের সাহায্য করতে থাকে এবং নিরাপদভাবে তাদের বাংলা পক্ষ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সংগঠনের অফিসে পৌঁছে দেয়।