টলিপাড়ায় থ্রেট কালচার, গায়ে আগুন দিয়ে শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টা!

এবার কর্মক্ষেত্রে চূড়ান্ত হেনস্থার জেরে গায়ে আগুন দিয়ে (Tollywood Threat Culture) আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন একজন অভিজ্ঞ হেয়ার স্টাইলিস্ট। গতকলা রাতে অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা…

এবার কর্মক্ষেত্রে চূড়ান্ত হেনস্থার জেরে গায়ে আগুন দিয়ে (Tollywood Threat Culture) আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন একজন অভিজ্ঞ হেয়ার স্টাইলিস্ট। গতকলা রাতে অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটেছে। বিশিষ্ট অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী সর্বপ্রথম এই কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে যে কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জন্যই এহেন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই শিল্পী। শিল্পীর নাম তনুশ্রী দাস। টলিপাড়ার গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের গ্রিনরুমের অত্যন্ত পড়িওচিত মুখ তিনি।
টলিপাড়ার অন্দরের খবর, টালিগঞ্জেও নাকি ‘থ্রেট কালচার’ চলছে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে হেয়ার ড্রেসার গিল্ড ও ফেডারেশনের বিরুদ্ধে। যথাযথভাবে নির্বাচিত করে কাজ দেওয়া হোক, অর্থাৎ ইলেকশন চেয়েছিলেন তিনি। টলিপাড়ার একাংশের দাবি এই কারণের জন্যই নাকি তাকে হেয়ার ড্রেসার গিল্ড ও ফেডারেশন সাসপেন্ড করে। পরবর্তীকালে তার কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হলেও, ওই শিল্পীকে জানানো হয় যে, তাকে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে যে কাজ দেওয়া হবে, শুধু সেই কাজই করতে পারবেন তিনি। অন্য কোনও কাজ তিনি করতে পারবেন না।

Advertisements

আরও জানা গিয়েছে যে, গতকালই একটি নতুন প্রজেক্টে কাজ করার কথা ছিল তার। কিন্তু কাজে যোগ দেবার আগেই শিল্পী তনুশ্রী দাসকে জানানো হয় যে, ওই কাজ নাকি অন্য শিল্পীকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর বেকারত্ব এবং কর্মহীনতা সহ্য করতে না পেরে এই সাংঘাতিক পদক্ষেপ নেন ওই হেয়ার স্টাইলিস্ট।

   

এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী নিজের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কেশসজ্জা শিল্পী, আমার হাত ধরেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে যার আসা, এই মুহূর্তে হাসপাতালের এমার্জেন্সিতে শুয়ে। সুইসাইড নোট লিখে রেখে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল। কোনওরকমে ঠেকানো গেছে। ওকে বাঁচানো গেছে। চিকিৎসা চলছে। সন্ধ্যাবেলা মেসেজ করে আমার সাহায্য চেয়েছিল। ক্লাসে ছিলাম। সময়মতো উত্তর দিতে পারিনি। নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না।”

পরিচালক সুদেষ্ণা রায় বলেছেন, “সাসপেনশন তুলে নেবার পরও হেয়ার ড্রেসার গিল্ড ও ফেডারেশন যে কাজ দেবে শুধু সেই কাজই করা যাবে, অন্য কোনও কাজ করা যাবেনা, এই ধরণের মন্তব্য একেবারেই ন্যায়সঙ্গত নয়।”