উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকদের জন্য তৃণমূলের চমকপ্রদ আয়োজন

সোমবার থেকে শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জমায়েত দেখা গেছে। পর্ষদের নির্দেশ মতো, পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টরের…

Special arrangments for HS's students parents

short-samachar

সোমবার থেকে শুরু হল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। সকাল থেকেই বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জমায়েত দেখা গেছে। পর্ষদের নির্দেশ মতো, পরীক্ষার্থীদের মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। তবে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালীন অভিভাবকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করেছে চুঁচুড়ার তৃণমূল নেতৃত্ব।

   

চুঁচুড়ার সুকান্তনগর অনুকুল চন্দ্র হাইস্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষা করা অভিভাবকদের জন্য কোদালিয়া অঞ্চল তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিদিন আলাদা আলাদা খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। সুত্রের খবর অনুযায়ী, পরীক্ষার দিনগুলোতে অভিভাবকদের জন্য চাউমিন, বিরিয়ানি, ঘুগনি, লুচি সহ নানা ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এই উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে, অভিভাবকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বসার জায়গারও আয়োজন করা হয়েছে। যাতে তাঁরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার সময় কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন। প্রথম দিনের পরীক্ষায় অভিভাবকদের জন্য ঘুগনি এবং চা-জলের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি পরবর্তী দিনগুলিতে আরও নানা ধরনের খাবারের ব্যবস্থা থাকবে।

এ ব্যাপারে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, “অভিভাবকদের সুবিধার জন্য আমরা সব রকমের ব্যবস্থা করেছি। তাঁদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য দলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ প্রথম দিনেই ঘুগনি পরিবেশন করা হয়েছে এবং পরবর্তী দিনগুলিতে আরও ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।”

কোদালিয়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান দেবাশিস চক্রবর্তী জানান, “অভিভাবকদের জন্য এই বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি তাঁদের অপেক্ষার সময়টিকে একটু স্বস্তিদায়ক করতে। যতদিন পরীক্ষা চলবে, ততদিন আমরা অভিভাবকদের খাবারের ব্যবস্থা করব।”

এদিন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১৮০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রায় ১৫০ জন অভিভাবকের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিভাবকরা এই উদ্যোগে অত্যন্ত খুশি এবং প্রশংসা করেছেন।

এই বিশেষ ব্যবস্থা কেবলমাত্র অভিভাবকদের আরামদায়ক সময় কাটানোর জন্য নয়, বরং তাদের ওপর যে চাপ থাকে, তা কিছুটা কমিয়ে আনার জন্যও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।