সদ্য দল তাঁকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু যুব তৃণমূলে (TMC) থাকাকালীন বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে ভিন রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির (Bengal SSC Scam) টাকা ছড়িয়েছিল কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)৷ এমনটাই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে শুরু করেছে। জানা গেছে, গোয়া ও ত্রিপুরায় এই টাকা ছড়িয়েছিল সে৷ ব্যবহার করা হয়েছিল হোটেল ব্যবসায় এবং চা বাগানে৷ সবটা খতিয়ে দেখতে সেদিকেও নজর পড়ছে ইডির৷
বলাগড়ের অন্য এক তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, তদন্তকে বিভ্রান্ত করে ভিন রাজ্যে টাকা পাচার করেছে কুন্তল। এইভাবেই কি টাকা পাচারের কথা বলতে চেয়ে সে। বুধবার কুন্তলের স্ত্রী জয়শ্রী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। জয়শ্রীর নামে একাধিক ট্রাস্ট খুলে তাতে বেসরকারি বিএড ও ডিএলএড কলেজ ছাড়াও কয়েকটি বেসরকারি স্কুল আছে কুন্তলের। ২০১৭ সালের পর থেকে জয়শ্রীর নামে একাধিক সম্পত্তিও কেনা হয়েছে।

গতকাল দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর জয়শ্রীর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তাই সমস্ত নথি নিয়ে ফের তলব করেছে ইডি৷ সূত্রে খবর, আড়ালে থেকে কুন্তলের সঙ্গে গোটা দুর্নীতির জাল বিছিয়েছিল শান্তনুও। আগামী দিনে তার পরিবারের সদস্যকেও তলব করা হতে পারে৷
জানা গেছে, অনেক আগে থেকেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দুর্নীতির জাল বিছিয়েছিল শান্তনুরা৷ গতকাল সেকারণেই কালীঘাটের কাকুকে তলব করা হয়েছিল। এদিন কুন্তল ও শান্তনুর সঙ্গে রাজনৈতিক যোগের কথা স্বীকার করলেও নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যোগের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।