মমতা-অভিষেকের সঙ্গে দেবের বৈঠকের পর পদ থেকে অপসারিত শঙ্কর দলুই

আচমকা ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সহ তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল সাংসদ দেব৷ এরপরই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়তে তিনি আগ্রহী নন বলেও…

আচমকা ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সহ তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দেন তৃণমূল সাংসদ দেব৷ এরপরই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়তে তিনি আগ্রহী নন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন৷ তাঁর দলে থাকা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে৷ এই সবের মধ্যে শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘাটালের সাংসদ দেবের বৈঠক হয়৷ বৈঠক শেষে তিনি সোজা চলে যান কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি৷ সেখানে আরও একপ্রস্ত বৈঠক সারেন তিনি৷

এদিনের বৈঠকের পর রবিবার দেবের পাশে দাঁড়িয়ে ঘাটালে বড়সড় রদবদল ঘটাল তৃণমূল৷ ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শংকর দলুইকে সরিয়ে দিল দল৷ তাঁর বদলে পদে নতুন এলেন রাধাকান্ত মাইতি৷ সূত্রের খবর, ঘাটালের তারকা সাংসদ দেবের সঙ্গে শঙ্কর দলুইয়ের লাগাতার দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁকে অপসারিত হতে হল৷ পরিস্থিতি ক্রমাগত ঘোরাল বুঝে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হস্তক্ষেপ করেন৷ দেবের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক নিজে৷ শনিবারের সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে তৃণমূল সূত্রে৷

বেশ কয়েকদিন ধরেই ঘাটালে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বর সঙ্গে দেবের দূরত্ব বাড়ছিল৷ তা নিয়ে সাংসদের ক্ষোভও ছিল৷ ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, সেখানকার কয়েকজন নেতার আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন বলেই দেব এবার ঘাটালের প্রার্থী হতে চাননি৷ বিষয়টি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসতেই তিনি গত মাসে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বকে কালীঘাটে ডেকে বৈঠক করে সাফ জানিয়ে দেন, দেব শিল্পী, ভালো ছেলে৷ কাজ করছেন অনেক৷

যদিও শনিবার বৈঠক সেরে দেব বলেছিলেন, ‘‘এর আগেও বলেছিলাম যে, আমি চাইলেই যে বেরিয়ে যাব, বা ভোটে দাঁড়াবো না, সেটা হবে না৷ দিদির মতামতও আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ তবে আজকে একটা কথাই বলব, আমি রাজনীতি ছাড়লেও রাজনীতি আমাকে ছাড়বে না৷’’