তিনি ভাঙলেন অথচ মচকালেন না। বনবিভাগের মহিলা অফিসারকে কটূক্তি প্রসঙ্গে কারামন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri) দুঃখ প্রকাশ করলেও প্রত্যক্ষ ভাবে ক্ষমা চাইলেন না। উপরন্তু ওই মহিলা অফিসারের ঘাড়েই কিছু দোষ চাপানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু এই নিয়ে তৃণমূলের উপর মহল একটুও সুযোগ দিতে ইচ্ছুক নয় অখিল গিরিকে। সুব্রত বক্সী কারামন্ত্রীকে ফোন করে ওই মহিলা বনবিভাগের অফিসারের কাছে নিঃশর্ত ভাবে ক্ষমা চাইতে বলেছেন নয়ত তাঁকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তৃণমূল সূত্রে খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পাওয়ার পরেই কারামন্ত্রীকে এমন নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভাপতি সুব্রত বক্সী।
রবিবার অখিল গিরি সংবাদমাধ্যকে বলেন, ‘তাজপুরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মন্ত্রী হিসাবে আমি আলোচনা করতে বলেছিলাম। নিজেও উত্তেজিত হয়ে পড়ি। বন আধিকারিককে আমি যে কথা বলেছি, তা অনুচিত। মন্ত্রিসভার দায়িত্বশীল সদস্য হিসাবে ওই কথা আমার বলা ঠিক হয়নি। পরবর্তী কালে তার জন্য আমি দুঃখও পেয়েছি। আমি এই কথা বলার জন্য অনুতপ্ত।’ তবে এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানান যে, ‘ রেঞ্জার মনীষা সাউ কারও কথা শোনেননি। তাঁর জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে দিন আমি ওখানে গিয়ে সামাল না দিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেত। গ্রামবাসীরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল। এই রেঞ্জারকে জেলা প্রশাসনের কেউ পছন্দ করেন না।’
‘সরকার গদি ছাড়’ দাবিতে অশান্ত বাংলাদেশ, জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে শেখ হাসিনা
গত শনিবারের ঘটনার পরে দলের কেউ তাঁর এহেন কাজকে সমর্থন করেননি। তিনি মহিলা অফিসারের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়,’ আপনার আয়ু ৭-৮ দিন, ১০ দিন!’ তাঁকে জানোয়ার, বেয়াদব বলতেও শোনা যায় তাঁকে। এই ঘটনার পরেই বিরোধীরাও তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। বিজেপি তাঁর গ্রেফতারির চেয়েছে। তবে এর চেয়েও ঐতিহাসিক বিষয়, তৃণমূলের ক্ষমতাকালে কোনও নেতাকে এইভাবে ক্ষমতা চাইতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।