Nusrat Jahan: কোটি কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’র লেনদেনে তৃণমূল সাংসদ নুসরতের সই

টলিউডে দুর্নীতির যোগ। ব্যাঙ্ক কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্ৰতারণা। সাংসদ নুসরত জাহানের নামে এবার নতুন তথ্য ইডির হাতে! ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের অডিট রিপোর্ট অনুসারে, নুসরত জাহানের…

nusrat jahan

টলিউডে দুর্নীতির যোগ। ব্যাঙ্ক কর্মীদের ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্ৰতারণা। সাংসদ নুসরত জাহানের নামে এবার নতুন তথ্য ইডির হাতে! ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের অডিট রিপোর্ট অনুসারে, নুসরত জাহানের নাম ও সই রয়েছে নথিতে। সেভেন সেন্সেস সংস্থায় জমা পড়েছে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ২২ কোটি টাকা, আর সেখানেই রয়েছে নুসরতের সই। সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরত জাহান দাবি করেছিলেন যে, তিনি ওই সংস্থার ডিরেক্টর হলেও সেখানে কি ধরনের ব্যবসা কার সঙ্গে কি চুক্তি হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ইডির কাছেও তিনি একই দাবি করেছেন।

তবে এবার ইডি আধিকারিকদের হাতে এসেছে একটি ব্যালেন্স শিট। ২০১৫-১৬ বর্ষে অভিযুক্ত সংস্থার অডিট রিপোর্টে সই। সেখানেই নজরে এসেছে ব্যাংক কর্মীদের দেওয়া ২২-২৪ কোটি টাকার মধ্যে যে ২২ কোটি টাকা সেভেন সেন্সেস কোম্পানিতে জমা পড়েছে সেটাও দেখা গিয়েছে।

সেই সঙ্গে অডিট রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, ম্যানেজমেন্ট পার্সোনাল হিসেবে নুসরাত জাহান এবং রাকেশ সিংয়ের নাম। এই জায়গা থেকেই ইডির প্রশ্ন যে, তিনি ওই অডিট রিপোর্টে সই করেছিলেন যেখানে খুব স্পষ্ট ভাবে ওই ডিলের বিরুদ্ধে যে টাকা ওই সংস্থা পেয়েছিল সেটার উল্লেখ রয়েছে। তার পরেও নুসরাত জাহান কিভাবে বলেন যে তিনি ঐ ডিল সম্পর্কে জানতেন না। এখানেই অভিনেত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে অসংগতি মিলেছে।

এছাড়াও ওই গোটা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত যে সকল নথিপত্র ইডি আধিকারিকরা পেয়েছেন সেখানে একটাই প্রশ্ন পরপর ২০১৫-১৬ অর্ধবর্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্ধবর্ষ পর্যন্ত ওই সংস্থার সঙ্গে একাধিক আরো সংস্থার ঋণের লেনদেন হয়েছে। সেই সংস্থা অন্য কোনো ভাবেই এ সংস্থার ডিরেক্টরদের সঙ্গে সংযুক্ত।