Nusrat Jahan: চুলে সোনালি ঝিলিক মেরে ইডি জেরায় হাজির নুসরত

থমথমে মুখ। চোখে গগলস। বোঝাই যাচ্ছে তিনি চিন্তিত। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে কলকাতার ইডি দফতরে জেরায় হাজিরা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ (Nusrat Jahan) নুসরত জাহান।…

থমথমে মুখ। চোখে গগলস। বোঝাই যাচ্ছে তিনি চিন্তিত। তবে নির্ধারিত সময়ের আগে কলকাতার ইডি দফতরে জেরায় হাজিরা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ (Nusrat Jahan) নুসরত জাহান। তাঁর জেরা নিয়ে তৃণমূল দলে চাপা উদ্বেগের প্রশ্ন, জেরা শেষে গ্রেফতার করা হবে নাকি বসিরহাটের সাংসদকে। যে সংস্থার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির প্রতারণা অভিযোগ উঠেছে তার পরিচালক মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন সাংসদ নুসরত। তাঁর অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছিল তার প্রমাণ মিলেছে। নুসরত নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও তিনি সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন বলে স্বীকার করে নেন।

সকাল ১০টা ১৩ মিনিট নাগাদ ফ্ল্যাট থেকে বের হন নুসরত। সাদা গাড়িতে ইডি দফতরের উদ্দেশে রওনা দেন। সকালে পৌনে এগারোটা নাগাদ ইডি দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান নুসরত। সকাল ১১টায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তার। সময়ের আগেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান তিনি। বেসরকারি সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন নুসরত। নুসরত দাবি করেছিলেন, তিনি ওই সংস্থা থেকে লোন নিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা এটাই মূলত জানতে চান, কোনও ব্যাঙ্ক থেকে না নিয়ে কেন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন নুসরত?

প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট-প্রতারণাকাণ্ডে আজ নুসরত জাহানকে তলব করেছে ইডি। গত সপ্তাহেই ইসিআইআর করে মামলা শুরু করে ইডি। ২০১৪-১৫ সালে নুসরত যে সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন, সেই ‘সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড’ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।

অভিযোগ, প্রথমে ২ কামরার ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে ৫০০ জনের কাছ থেকে টাকা তোলা হয়েছিল। পরে সময়ে পেরিয়ে গেলেও ফ্ল্যাট পাননি ব্যাঙ্কের কর্মীরা। পরে তাঁদের হিডকোর একটি জমি দেখিয়ে বলা হয়, সেখানে তিন কামরার ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। কিন্তু তারপরও ফ্ল্যাট পাননি। এইভাবেই এতগুলো বছর কেটে যায়। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিতরা।

প্রতারিতরা অভিযোগ করেন, নুসরত প্রতারণার টাকায় নিজে পাম অ্যাভিনিউয়ের ফ্ল্যাট কিনেছেন। প্রতারিতদের অভিযোগ, প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। আলিপুর আদালতে গিয়ে মামলা ফাইল করে। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডার প্রতারিত ব্যাঙ্ক কর্মীদের অভিযোগ সামনে আনেন। এবার সেই মামলাতেই ইডি ডাকে নুসরতকে। উল্লেখ্য, সাংবাদিক বৈঠক করে নুসরত দাবি করেছেন, তিনি ওই কোম্পানি থেকে একটা লোন নিয়েছিলেন। ১কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকার লোন নিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সুদ সমেত ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৯৫ টাকা কোম্পানিকে ফেরত দেন।