আমাকে ফাঁসিয়েছে রাজ্য পুলিশ, বিস্ফোরক দাবি তাপসের আপ্ত সহায়কের

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহাকে ফের ডেকেছে সিবিআই। একই তদন্তে বিধায়কের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, চাকরি…

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহাকে ফের ডেকেছে সিবিআই। একই তদন্তে বিধায়কের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়ালের ভূমিকা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ, চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে বিধায়কের নাম করেই টাকা নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রবীরের- আমাকে ফাঁসিয়েছে দুর্নীতি দমন শাখা। জোর করে মুখ থেকে বলিয়ে নিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার আদালতে হাজিরা দিতে আসেন প্রবীর। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, গত বছর দুর্নীতি দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলাম। সেকারণে আজ হাজিরা দিতে আসা। আমাকে দুর্নীতি দমন শাখা ফাঁসিয়েছে। জোর করে ভয় দেখিয়ে বলেছিল নিজের দোষ নিজে নিতে হবে। তাপস সাহার নামে কিছু বলা যাবে না। আমরা ওনাকে ধরতে পারব না। সেকারণেই আমার এই অবস্থা।

এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে প্রবীরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে সিবিআই জানতে পারে দুই মাসে প্রায় ২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। প্রবীর সেই টাকার বিষয়ে জানিয়েছেন, ওই টাকা নিয়োগ দুর্নীতির কোনও টাকাই নয়। ওটা ব্যবসাদারের টাকা। ওই ব্যবসায়ী আমায় পাঠাতেন। যেহেতু আমি কলকাতায় থাকি সেই কারণে টাকাটা শুধু এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে পাঠাতাম। ওইখানে ১ কোটি টাকা হবে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেলার পরেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তাপস সাহা সম্পর্কে তৎপর হয়েছে সিবিআই। গত শুক্রবার তেহট্টের বিধায়কের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। কোনও তথ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সিবিআই। কিন্তু তাপস সম্পর্কে এত সহজে জমি ছাড়তে নারাজ সিবিআই। তাই ফের নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ককে। যা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি।