আরজি কর (RG Kar case) কাণ্ডে ফের সরব তৃণমূল (TMC) সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy)। নির্যাতিতার বিচারের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে রাস্তায় নেমে মানুষের গণআন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। বুধবার নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে এই বিষয়ে পোস্ট করেন তিনি। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তিনি এক্সে মন্তব্য করেন, “রাত দখলের সঙ্গেই মর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার দখল করুক মানুষ। মর্যাদা নিয়ে বাঁচা সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় বর্ণিত মৌলিক অধিকার। “সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন এই বার্তা।”
ছবি পোস্ট করে অপপ্রচার করছেন, কুণালের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদী ডাক্তারেরা
Reclaim the night- Reclaim peoples’ fundamental right to live with human dignity as enshrined in Article 21 of the Constitution of India.🌹
— Sukhendu Sekhar Ray (@Sukhendusekhar) September 4, 2024
‘বিতর্কিত’ মন্তব্যে বিপাকে লাভলি, তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা
এর আগেও গত ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখল অভিযানকে সমর্থন করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। শুধু তাই নয় আরজি করের ডাক্তারদের প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়ে ধর্ণা মঞ্চেও দেখা গিয়েছল তাঁকে। আর তারপরই তৃণমূল সাংসদকে লালবাজারে তলব করে কলকাতা পুলিশ। যদিও দুবারই হাজিরা এড়িয়ে যান তৃণমূলের এই প্রবীন সাংসদ। উল্টে গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তারপর এই ইস্যুতে অনেকটাই গড়িয়েছে ‘গঙ্গার জল’। তারপর সম্প্রতি বাস্তিল দূর্গের পতনকে উল্লেখ করে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। তা নিয়েও জলঘোলা হয়েছে বিস্তর।
এরইমধ্যে আরজি কর দুর্নীতি কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরে তিনি পোস্ট করেন, “মিডল স্ট্যাম্প উপড়ে গেল, এরপর কী হবে?” তাঁর এই প্রশ্নবোধক ট্যুইটে কাকে নিশানা করছেন তা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে সন্দেহ। এই ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে দলের অস্বস্তি দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে দাবি করছেন তৃণমূলের একাংশ।
হাসপাতালে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ, বর্ধমান থেকে কাকদ্বীপে বদলি ‘সন্দীপ ঘনিষ্ট’ বিরূপাক্ষ
আরজি কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে দিকে দিকে বেড়েই চলেছে প্রতিবাদের ঢেউ। রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সাধারন নাগরিকেরাও পথে পা মেলাচ্ছেন প্রতিদিন। আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি। তার আগে আজ বুধবার ফের রাত দখলে পথে নামবে জনতা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে যখন পুলিশের হিমশিম অবস্থা তখন তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্য দলকে আরও বিড়ম্বনায় ফেলবে।