SSKM থেকে ‘গোরু চোর’ শুনে বোলপুরে ফিরছেন অনুব্রত

কোটি কোটি কালো টাকা লেনদেনের তদন্তে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরের এইমসে শুনতে হয়েছিল ‘চোর’ ধ্বনি। তখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব ও মন্ত্রী। তিনি…

Anubrata Mandal

কোটি কোটি কালো টাকা লেনদেনের তদন্তে ইডি হেফাজতে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরের এইমসে শুনতে হয়েছিল ‘চোর’ ধ্বনি। তখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব ও মন্ত্রী। তিনি আদৌ অসুস্থ কিনা তা জানতে ইডি এইমসের দ্বারস্থ হয়। যদিও কলকাতায় এসএসকেএম (SSKM) থেকে পার্থবাবুকে অসুস্থ বলা হয়েছিল। এইমসের রিপোর্টে পার্থবাবুকে সুস্থ বলা হতেই এসএসকেএমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার তৃণমূল কংগ্রেস বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে একই হাসপাতালে শুনতে হলো ‘গোরু চোর’ ধ্বনি।

তবে এবার এসএসকেএম চিকিৎসকরা অনুব্রতকে আর ততটা অসুস্থ বললেন না। তাঁকে ভর্তি করা হয়নি হাসপাতাল। এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে গোরু চোর ধ্বনি শুনে বীরভূম চলে গেলেন অনুব্রত। যে কোনওদিন তাকে ফের সিবিআই গোরু পাচার মামলায় জেরা করতে ডাকবে।

সকাল থেকে অনুব্রত মণ্ডলের গতিবিধির ওপর নজর ছিল সকলের৷ কারণ, এই নিয়ে নবমবার তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। কিন্ত এসএসকেএমে ভর্তি হতে না পেরে তিনি হাসপাতাল থেকে সোজা চলে গেলেন চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে। ছিলেন কিছু সময়। দেখা করলেন নিজের আইনজীবীর সঙ্গে। এরপর বেরিয়ে জানালেন তিনি বাড়ি যাচ্ছেন৷ অর্থাৎ বীরভূম যাচ্ছেন৷

সোমবার বেলা ১১ টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের৷ তিনি আগেই বলেছিলেন অসুস্থ তাই হাজিরা দেবেন না। এদিন ১২ টা নাগাদ হাজির হন এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সূত্রের খবর, রুটিনমাফিক চেক আপের কারণেই এদিন এসএসকেএমে যান অনুব্রত৷ এসএসকেএম সূত্রে জানা গেছে, অনুব্রতর ফিসচুলার সমস্যার পাশাপাশি রয়েছে কাশি, ঘাড়ে ও মাথায় ব্যাথা। রুটিন চেকআপের জন্যই তিনি এসেছেন। ২১৬ নম্বর কেবিনেই তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা মনে করছেন অনুব্রতকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই।

এদিন হাসপাতাল থেকে অনুব্রত বের হতেই তাঁকে লক্ষ্য করে ‘গোরু চোর’ স্লোগান উঠতে শুরু করে৷ এরই মধ্যে দ্রুত গাড়িতে চড়ে রওনা দেন চিনার পার্কের ফ্ল্যাটের উদ্দেশ্যে৷ পরে তিনি জানান, আমি সিবিআই দফতরে যাব কি যাব না সেটা তো জানিয়েই দিয়েছি৷ এরপর বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ ফের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসেন৷ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানালেন তিনি বাড়ি যাচ্ছেন৷

উল্লেখ্য, সোমবারই গোরু পাচার মামলায় নতুন চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই৷ সেখানে নাম রয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের৷ সিবিআই সূত্রে খবর, ৬০ ধরে সিবিআই হেফাজতে থাকা সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সেই সমস্ত তথ্য প্রমাণ সামনে রেখেই অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।