২১শের সকালে বড় চমক! শোরগোল ফেললেন ‘সেনাপতি’ অভিষেক!

‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী আদৌ একুশের মঞ্চে দেখা যাবে? প্রশ্ন উঠেছিল। তবে, দিন দু’য়েক আগেই কলকাতায় ফিরেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আর রবিবার, একুশে জুলাইয়ের সকালে…

TMC MP Abhishek Banerjee to Attend PM Modi's All-Party Meeting in Delhi

‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কী আদৌ একুশের মঞ্চে দেখা যাবে? প্রশ্ন উঠেছিল। তবে, দিন দু’য়েক আগেই কলকাতায় ফিরেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। আর রবিবার, একুশে জুলাইয়ের সকালে সকলে চমকে ধরা দিলেন চেনা মেজাজে। জল ঢাললেন সব জল্পনায়। এক্স হ্যান্ডেলে যেমন বার্তা দিয়েছেন, তেমনই দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় একটি নিবন্ধও লিখেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদ।

অন্যান্যবার তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রস্তুতিতে দেখতে যান অভিষেক। দেখা করেন বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দিন কয়েক আগেই শহরে চলে আসা তৃণমূলে কর্মীদের সঙ্গেও। এবার এসব করতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে রবিবার সকাল সকাল বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘বাংলার মানুষ বার বার বাংলা-বিরোধীদের দেখিয়ে দিয়েছেন, কোনও অবস্থাতেই তাঁরা নত হবেন না, কারও সামনে আত্মসমর্পণ করবেন না। বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ।’

   

আদৌ তৃণমূলে যোগ, নাকি বিভীষণের ভূমিকায় দুই বিজেপি সাংসদ? নজরে একুশের মঞ্চ

দলীয় মুখপাত্র ‘জাগো বাংলা’য় এ দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে ২১ জুলাইয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছেন তিনি। সঙ্গে তৃণমূল ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’-এর আবেদন, ‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল উপভোগ করার, কিন্তু আত্মসন্তুষ্টি নয়।’

Advertisements

আবেগের সুনামিতে ধর্মতলায় ৫ হাজারের টুপিও বিকোচ্ছে ঝড়ের বেগে!

লোকসভা ভোটে জয়, উপনির্বাচনেও চার কেন্দ্রেই উড়েছে সবুজ আবির। এসবের মধ্যেই দল ও সংগঠনে সংস্কারমুকী ঝাঁকুনি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের কথাতেও সেই ইঙ্গিত। লিখেছেন, ‘লোকসভা ভোটের ফলাফলে আত্মতুষ্টি চলে এলে তাতে দল এবং প্রশাসন— দু’য়েরই ক্ষতি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। কাজ করতে হবে মন্ত্রী এবং আমলাদেরও।’

গতবার মমতার বক্তৃতা অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছিল বাংলাকে কেন্দ্রের আর্থিক অবরোধ, সিবিআই-ইডির মতো এজেন্সির অপব্যবহারের বিষয়গুলো। নেত্রীর নজরে ছিল লোকসভা ভোট। সেবার একুশের মঞ্চে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণেও বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনা গুরুত্ব পেয়েছিল। বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল ‘সেনাপতি’। এবারও সেই দাবি তাকবে, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যেতে পারে তাঁকে। বলতে পারেন, লোকসবায় জোড়-ফুলের জয় আসলে বাংলাকে বঞ্চনার জবাব। তবে সেসব ছাপিয়ে অভিষেকের ভাষণে এবার দলীয় ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়টি মুখ্য হয়ে ওঠে কিনা সেদিকেই নজর থাকবে।