TMC: বিজেপির অফিস থেকে টাইপ করে কি আদালতে অর্ডার যাচ্ছে, প্রশ্ন কুণালের

বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূলের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকরি হারানো প্রায় ২৬০০০ প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ এবং শিক্ষামন্ত্রী…

tmc press conference

বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূলের তরফে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে চাকরি হারানো প্রায় ২৬০০০ প্রার্থীদের চাকরি বাতিলের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এইদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি সহ সিপিএম এবং কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করে। তৃণমূলের তরফে একটি ভিডিও দেখিয়ে এইদিনের সাংবাদিক বৈঠক শুরু হয়। কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ” বিজেপি বলে দিচ্ছে তারপরে লোকের চাকরি যাচ্ছে!” প্রসঙ্গত এইদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভিডিও দেখিয়ে তাঁরা বক্তব্য শুরু করেন। যে ভিডিওটি কয়েকদিন আগের, যেখানে দেখা গিয়েছিল তিনি বলছেন, ” সামনে ধামাকা আসছে!” এখানেই শেষ নয়, কুণাল ঘোষের বক্তব্য বিজেপির ওন্দার বিধায়ক অমরনাথের দাবি, ৬০ হাজার চাকরি যাবে আবার!

কুণাল ঘোষ দাবি করেন, ” বিজেপি চাকরি দেয়নি। চাকরিচ্যুত করেছে। চাকরি যাওয়ার পৈশাচিক উল্লাস করা হচ্ছে। নিয়োগ নিয়ে কিছু ভুল কাজ হয়েছিল। যাঁরা শাস্তি পাওয়ার পাক। জট খোলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি রাজনীতি করবে।” এখানেই শেষ নয়, তাঁর মতে কলকাতা হাইকোর্ট অবিচার করেছে। তিনি বলেন, ” বিজেপির অফিস থেকে টাইপ করে কি আদালতে অর্ডার যাচ্ছে? ” আক্ষেপের সুরে বলেন, ”চাকরি খেয়ে কি ন্যায়বিচার হলো? ”

অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য অনুয়ায়ী অযোগ্যদের তালিকা আগেই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ” ব্রাত্য বলেন, ”সুপারনিউমেরিক পদ নিয়ে অনেক চর্চা চলছে। কিন্তু সুপারনিউমেরিক পদ তৈরি করা হলেও সরকার চাকরি দিতে পারেনি। একটিই চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এক জনকেই সুপারনিউমেরিক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছিল প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপির তমলুক কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়। ” তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ”এই ছেলেমেয়েগুলিকে বলির পাঁঠা ভাবছে বিজেপি। এদের জন্য কোনও দরদ নেই ওদের। দরদ আছে শুধু মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। দেখার বিষয় সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দান করেন।