কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি (Pahalgam Terror Attack) হামলার ঘটনায় গোটা দেশ স্তব্ধ। এই নির্মম ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। তাঁদের নাম— বৈষ্ণবঘাটার বিতান অধিকারী, বেহালার সমীর গুহ ও পুরুলিয়ার মণীশরঞ্জন মিশ্র। এই ভয়াবহ হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদে (Pahalgam Terror Attack) সরব হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করবে তৃণমূল যুব কংগ্রেস। এই কর্মসূচির (Pahalgam Terror Attack) মাধ্যমে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করা হবে। একইসঙ্গে এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে আওয়াজ তুলবে রাজ্যবাসী।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, এই মোমবাতি মিছিল সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ এবং মৌন প্রার্থনামূলক হবে। কোনো রাজনৈতিক স্লোগান বা ব্যানার ছাড়াই শুধুমাত্র মানবিকতার বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোকপ্রকাশ করেন। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বতন টুইটার) লেখেন, “কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিষ্ঠুর জঙ্গি (Pahalgam Terror Attack) হামলা আমাকে স্তম্ভিত করেছে। স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি আমার গভীর সহমর্মিতা। কোনওভাবেই যেন দোষীরা ছাড় না পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি এ-ও জানান, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে সমস্তরকম সহায়তা দেওয়া হবে। বুধবার রাতেই নিহতদের পরিবারের সদস্যরা কাশ্মীর থেকে কলকাতায় ফেরেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশেষ তৎপরতা দেখায় রাজ্য প্রশাসন।
এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “এই ধরণের কাপুরুষোচিত হামলা মানবতাবিরোধী। আমরা কখনোই এই সন্ত্রাসবাদীদের সাপোর্ট করিনি, করব না। নিহতদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে, রাজ্যের প্রতিটি মানুষকে অনুরোধ করব মোমবাতি মিছিলে সামিল হতে।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, প্রতিটি জেলায় স্থানীয় যুব নেতৃত্ব এই কর্মসূচির দায়িত্বে থাকবেন। মিছিল শুরু হবে বিকেল ৫টা থেকে, এবং তা নির্ধারিত রুট ধরে মূলত শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক (Pahalgam Terror Attack) দিয়ে অগ্রসর হবে। বেশ কিছু জায়গায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এই হামলা শুধুমাত্র একটি রাজ্যের বা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়—এটি গোটা দেশের সহনশীলতার, ঐক্যের উপর আঘাত। মোমবাতির আলোয় এই হামলার আঁধার দূর করার বার্তাই পৌঁছে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এই কর্মসূচির (Pahalgam Terror Attack) মাধ্যমে রাজ্যের মানুষের কাছে একটি বার্তাও পৌঁছে দিতে চাইছে শাসকদল—সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা বাংলা এককাট্টা। মানবিকতার এই মিছিলে রাজনৈতিক পরিচয় নয়, থাকবে শুধুই শোক, সমবেদনা ও প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর।