সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব পেশের (Suvendu Adhikari) দিনেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন। মঙ্গলবারের এই অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ‘অবমাননাকর মন্তব্য’ করার অভিযোগ ওঠে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে।(Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য ঘিরে বিধানসভায় প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়, যার জেরে শাসকদলের একাধিক বিধায়ক স্পিকারের কাছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস জমা দেন।(Suvendu Adhikari)
ঘটনার সূত্রপাত হয় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে আনা এক প্রস্তাবকে ঘিরে। সাধারণত, এই ধরনের প্রস্তাবে রাজনৈতিক বিরোধিতা না দেখানোই(Suvendu Adhikari) রীতি। কিন্তু এদিন সেই প্রস্তাবকে ঘিরেই উত্তপ্ত বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্পিকার বলেন, “আমি অধ্যক্ষ হিসাবে সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব (Suvendu Adhikari) এনেছিলাম। তা নিয়ে আলোচনা হয় বিধানসভায়। কিন্তু পরে দেখি, বিরোধী দলনেতা বিধানসভা কক্ষে নয়, বাইরে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পাকিস্তানের হয়ে ব্যাট করেছেন। এটা দেখে আমি অত্যন্ত আহত হয়েছি।”(Suvendu Adhikari)
স্পিকারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী কোনওভাবেই পাকিস্তানের পক্ষের কথা বলেননি। তাঁর বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে প্রসিডিংয়ে নথিভুক্ত রয়েছে এবং সেটি বিভ্রান্তিকরভাবে উপস্থাপন করেছেন বিরোধী দলনেতা। স্পিকারের বক্তব্য, “বাইরে বিরোধী দলনেতা যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক। আইন অনুযায়ী এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”(Suvendu Adhikari)
ঘটনার জেরে শাসকদলের চার বিধায়ক — চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ইন্দ্রনীল সেন ও অরূপ বিশ্বাস — স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগে স্পিকারের কাছে নোটিস জমা দেন। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর সাফ বক্তব্য(Suvendu Adhikari) “উনি (মুখ্যমন্ত্রী) বলেছেন, আমি বলেছি। আমায় যদি চিঠি দেয়, আমি জবাব দেব। এর আগেও সাতবার আমার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনা হয়েছে।”(Suvendu Adhikari)
শুভেন্দু দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গেই তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান কীভাবে UN-র ভাইস চেয়ারম্যান হয়, যেটা রাশিয়া পেয়েছে? পাকিস্তান কীভাবে IMF, ADB-র ঋণ পায়? এইসব প্রশ্ন উনি তুলেছেন। আমি বলেছি, এই ধরনের বক্তব্য ভারতের সেনাবাহিনীর সাফল্যের প্রেক্ষাপটে অনভিপ্রেত এবং দেশের শত্রুর পক্ষ নেওয়ার শামিল।”(Suvendu Adhikari)
তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি সরাসরি সেনার সম্মান জানানো নিয়ে ছিল। তার সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনামূলক আলোচনা এনে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টিকে রাজনৈতিক রঙ দিয়েছেন। আমি সেটারই জবাব দিয়েছি। আমার বক্তব্যে কোনও ভুল নেই।”(Suvendu Adhikari)
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ (Suvendu Adhikari) ছড়িয়েছে। শাসকদল শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে, অন্যদিকে বিজেপি এই নোটিসকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছে। বিরোধী দল নেতার বক্তব্য, “আমি জনগণের প্রশ্নকে তুলে ধরেছি, মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলেন, সেটার জবাব দেওয়া আমার অধিকার।”(Suvendu Adhikari)
এই বিতর্ক ঘিরে বিধানসভা চত্বর এবং রাজ্য রাজনীতিতে(Suvendu Adhikari) তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আগামী দিনে এই স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে কী ব্যবস্থা নেয় বিধানসভা কর্তৃপক্ষ, তা নিয়ে সকলের নজর থাকছে স্পিকারের রায়ের দিকে। একদিকে শাসকদল যেখানে বিধানসভায় শৃঙ্খলার পক্ষে সওয়াল করছে, অন্যদিকে বিরোধীপক্ষ মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্ন তুলে রণক্ষেত্র তৈরি করছে বিধানসভা চত্বরে। এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির উত্তাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। (Suvendu Adhikari)
