আরজি কর (RG Kar Protest) থেকে বর্ধমান দিকে দিকে একের পর এক ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবার ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার সারদামণি মহিলা কলেজে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেখান থেকে ইতিমধ্যেই দুই ছাত্রীকে বহিস্কৃত করা হয়েছে। ঠিক কী হয়েছিল?
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিল ওই দুই ছাত্রী। তাঁরা লাগাতার প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে শুধু তাই নয়, প্রতিবাদের নামে তাঁদের বিরুদ্ধে টাকা তোলারও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু ওই ছাত্রীদের কলেজের তরফ থেকে বার বার প্রতিবাদ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাঁরা সেই রাস্তা থেকে সরে আসেনি।
এরপরেই ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগে ওই দুই ছাত্রীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় কতৃপক্ষ। যদিও বহিস্কৃত ছাত্রীরা অভিযোগ জানিয়ে বলেছে, ওই কলেজের অধ্যক্ষ তথা প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল সাঁতরার তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন ধরে এই ‘থ্রেট কালচার’ চলত কলেজ ক্যাম্পাসে।
যদিও সেই তৃণমূল নেতার পাল্টা অভিযোগ ওই দুই ছাত্রী নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের ব্যানারে প্রতিবাদের নাম করে কলেজ থেকে টাকা তুলছিল। এরপর তাঁদেরকে চিহ্নিত করা হয়। তবে ওই দুই ছাত্রী বহিষ্কারের পর এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেছে পড়ুয়ারা।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সেখান থেকে প্রথম ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উঠেছিল। এরপর রাজ্য়ের একের পর এক সরকারি মেডিক্য়াল কলেজ থেকে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আর সেইসব অভিযোগ তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমন আবহে ভাইরাল হয়েছে হুমকি-শাসানির একাধিক অডিও ক্লিপ।
সম্প্রতি এই ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ থেকে ৪০ জন পড়ুয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি হোস্টেল ও হাসপাতালে ঢুকতেও নিষেধ করা হয়েছে। সেই কলেজের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কতৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সেই কলেজের ৯ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।