‘আর একটা ধর্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে পারব না’, সরকারকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের

আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় মুখ পুড়ল বাংলার সরকারের। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট।…

আরজি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় মুখ পুড়ল বাংলার সরকারের। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে প্রশাসনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিকে গত ১৪ আগস্ট আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় একদিকে যখন রাত দখল কর্মসূচি চলছিল তখন হাসপাতালে কয়েক হাজার দুষ্কৃতী ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এবার এই ঘটনায় রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল সরকার। ২২ আগস্টের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

   

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষন, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কী করে ঢুকে গেল ৭ হাজার দুষ্কৃতী? এটা ভয় জাগানোর ঘটনা। হাসপাতালে বহিরাগতরা ঢুকে কীভাবে হামলা করল? আর একটা ধর্ষণের জন্য আমরা অপেক্ষা করতে পারবো না।’ আজ মঙ্গলবার চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করতে আবেদন সুপ্রিম কোর্টের।

আজ অবশেষে আরজি কর মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। যেখানে ছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিচার কি পাবেন কলকাতার ‘বিজয়া’? সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এদিকে এই ঘটনায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলল দেশের শীর্ষ আদালত। ‘সৎকারের ৩ ঘন্টা পর এফআইআর কেন? কী করছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ?’ পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।

এদিকে এই ঘটনায় এবার জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। চিকিৎসকদের নিয়ে এই টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তৎকালীন অধ্যক্ষ কেন বলেছিলেন আত্মহত্যা? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সিবিআইয়ের পাশাপাশি টাস্কফোর্স-ও সমানভাবে তদন্ত চালিয়ে যাবে।  দেশজুড়ে ‘বিজয়া’ মামলায় অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। বাংলা সহ দেশের নানা জায়গায় চলছে এই বিক্ষোভ। এহেন অবস্থা বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বলা হল, ‘আন্দোলনকারীদের ওপর শক্তি প্রদর্শন করবেন না।’