TET SCAM: গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব, সরকারের অমানবিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ অপর্ণা সেনের

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই মধ্যরাতে পুলিশের অভিযান। প্রায় ৮৪ ঘন্টা ধরে চলতে থাকা চাকরি প্রার্থীদের অনশন আন্দোলন(TET SCAM) মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই খালি হয়ে যায়…

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই মধ্যরাতে পুলিশের অভিযান। প্রায় ৮৪ ঘন্টা ধরে চলতে থাকা চাকরি প্রার্থীদের অনশন আন্দোলন(TET SCAM) মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই খালি হয়ে যায় এপিসি ভবনের সামনের চত্বর। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। এবার সেই ঘটনায় সরব হলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও পরিচালক অপর্ণা সেন।

এদিন ট্যুইট করে অর্পণা বলেন, অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? সরকারের অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি! বাম জমানায় সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা অপর্ণা সেনের সেই বার্তা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গেছে।

বরাবর যে কোনও সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে অপর্ণা সেনকে। বাম জমানায় কখনও সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রামের ঘটনা প্রসঙ্গে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন তিনি। আবার কখনও ছুটে গেছেন ঘটনাস্থলে। এমনকি কেন্দ্র সরকারের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে সরব হতে মোটেও পিছপা হননি অভিনেত্রী। গতকাল মধ্যরাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবার সরব হলেন তৃণমূলের সরকারের বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, যোগ্যতা থাকার পরে বারবার বঞ্চিত হতে হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে আর কত বঞ্চনার শিকার হতে হবে? এই প্রশ্ন তুলে সোমবার থেকে আন্দোলনে শামিল হন চাকরি প্রার্থীরা। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় অনশন কর্মসূচি। কিন্তু দীর্ঘ আন্দোলনের পরেও নমনীয় হয়নি সরকার এবং পর্ষদ। পরে আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ।

এরপর গতকালই এপিসি ভবনের সামনে ১৪৪ ধারা লাগু করে কলকাতা হাইকোর্ট। গতকাল আদালতের তরফে জানানো হয়, কলকাতা ১৪৪ ধারা মানতে হবে চাকরি প্রার্থীদের। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তিনি যেন পর্ষদ অফিসে কর্মীদের ঢোকা-বের হওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী ৪ নভেম্বর অবধি এই নিয়ম বলবৎ থাকবে। এরপরেই মধ্যরাতে ভিন জেলা থেকে আসা চাকরি প্রার্থীদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।

গতকালের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যজুড়ে বিরাট বিক্ষোভে নামতে চলেছে বিরোধী দলগুলি। গতকাল পুলিশি তৎপরতা বাড়তেই উপস্থিত হন বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। আজ বিরাট কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বিরোধী দলগুলির পক্ষের তরফেই।