TET SCAM: ইন্টারভিউ দিলে তবেই মিলবে চাকরি, অটল পর্ষদ

রবিবার দুপুর বারোটায় পর্ষদ ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ২০১৪ সালের টেট পাশ প্রার্থীরা। কেটেছে দুই রাত। সোমবার থেকে একটানা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ধর্না…

রবিবার দুপুর বারোটায় পর্ষদ ভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ২০১৪ সালের টেট পাশ প্রার্থীরা। কেটেছে দুই রাত। সোমবার থেকে একটানা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ধর্না জারি রয়েছে ২০১৪ টেট পাশ (TET) নট ইনক্লুডেড চাকরি প্রার্থীদের। যতক্ষণ পর্যন্ত না নিয়োগপত্র হাতে পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমরণ অনশনে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে দুবার ইন্টারভিউতে পাশ করার পরও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। কোনভাবেই আর ইন্টারভিউতে বসতে নারাজ তাঁরা। ইন্টারভিউর না দিয়ে কোনরকম নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে না,আন্দোলনরত হবু শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কড়া‌ বার্তা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের। 

এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি জানিয়েছেন, “পদ্ধতি মেনে আবেদন করতে হবে। ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। আমার আমলে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হচ্ছে। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে ইন্টারভিউতে ডাকা হবে”।

“২ বার ইন্টারভিউ দেওয়ার পর সবাই কী অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছে” এই বলেও প্রশ্ন তুলেছেন পর্ষদ সভাপতি। আন্দোলনরত হবো শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে কিছুটা ক্ষোভ‌ উগড়ে দিয়ে সভাপতি বলেছেন,”অনিয়ম প্রমাণিত হলে আদালত ব্যবস্থা নেবে। যদি মনে করেন বঞ্চিত হচ্ছেন তাহলে আদালতে যান”।‌‌ 

গতকাল জানিয়েছিলেন আন্দলনকারীরা অন্যায্য দাবি জানাচ্ছে, তারা অন্যায্য ভাবে আন্দোলন করছে। এরপরই সভাপতির উদ্দেশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পর্ষদ সভাপতি দাবি করেছেন, আন্দোলনরত প্রার্থীরা অভিযোগ হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে আন্দোলন করছেন। গৌতম রায় আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা অভিযোগ করছেন বেআইনি নিয়োগ হয়েছে, তাহলে ইন্টারভিউ না নিয়ে কীভাবে বেআইনিভাবে আন্দোলনকারীদের নিয়োগ করা হবে? ২ বার ইন্টারভিউয়ে গিয়েছিলেন, তখন কি এই প্রশ্ন তুলেছিলেন? আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন পর্ষদ সভাপতির।

এর আগে অবশ্য টেট চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য ছিল, আজকে যারা নট ইনক্লুডেড, তাঁর কিন্তু পর পর দুইবার ইন্টারভিউ দেওয়ার অর্থাৎ রিক্রুটমেন্ট প্রসেসে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছেন। তার পরেও তাঁরা এম প্যানেল হননি। তাঁরা আন্দোলন করছেন। আমরা কখনই বলতে পারি না তারাই শুধুমাত্র আবেদন করবেন। তাঁরা চাইছেন, তাঁরা কোনও ইন্টারভিউ দেবেন না আর। তাঁদেরকে নিয়োগ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ মনে করে তাঁদের দাবি অন্যায্য।

প্রায় ১১ হাজার শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তি এই ধরনের আন্দোলনকে ইন্ধন জোগাচ্ছেন বলেও দাবি করেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। আন্দোলনকে সমর্থনকে বোর্ডের তরফে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বয়স অনেকের পেরিয়ে গেলেও সেখানে বোর্ডের তরফে নিয়মভঙ্গ করার সুযোগ নেই বলে দাবি করেন তিনি। এখন ইন্টারভিউতে বসার কথা বললেন পর্ষদ সভাপতি। এতে আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ আরও বাড়বে। পর্ষদের তরফ থেকে করা বার্তা দেয়া হয়েছে তার ফলে আন্দোলনের উত্তাপ আগামী দিনে বাড়বে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।