Tet scam: ২০১৪! দীর্ঘ আট বছর ধরে অপেক্ষা। শুক্রবার ইন্টারভিউতে বসার সুযোগ পেলেন ১৫৮৫ জন চাকরি প্রার্থী। দীর্ঘ সময়ের পর ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। তবে ইন্টারভিউ এর পরেও তারা নিয়োগপত্র হাতে পাবেন তো, অপেক্ষার পর সত্যিই চাকরিটা হবে তো, এই আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। ইন্টারভিউয়ের পরে নিয়োগ হবে তো? এই বলে প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আজ চাকরি প্রার্থীরা ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে এপিসি ভবনে উপস্থিত হয়েছেন। ইন্টারভিউ দিতে আসা চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, এর আগে তাঁদের পরীক্ষা হয়েছিল এমনকি ইন্টারভিউ হয়েছিল। প্যানেলে নাম থাকলেও ২০১৯ সালে প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ফের প্যানেলে নাম এলেও নম্বর কম এসেছিল। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রার্থীরা। এখন আদালতের নির্দেশে নিয়োগের আশায় রয়েছেন তাঁরা।
আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানিয়েছেন,’চলতি মাসের ২১, ২২, ২৮, ২৯ তারিখ এবং নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত হবে ইন্টারভিউয়ের প্রক্রিয়া’। এই ১৫৮৫ জনের নাম হলফনামায় ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কমিশনের চেয়ারম্যানের জানিয়েছেন, ইন্টারভিউয়ের পর সমস্ত নম্বর দেখে নিয়োগ হবে’। তবে ইন্টারভিউ দিলেই নিয়োগ হবে কি না, এটা বলা যায় না।’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। মোট কতজন যোগ্য প্রার্থী সেটা দেখেই নিয়োগ হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে যেভাবে বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি পাহাড় গড়েছে, সেখানে নিয়োগ নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। ইন্টারভিউয়ে পাশ করার পরেও চাকরি মিলবে কিনা, এই আশঙ্কা একেবারেই এড়িয়ে যাওয়ার নয়।