‘জনগণের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ’ মমতার ইস্তফা দাবি শুভেন্দুর

Advertisements কলকাতা, ৭ অক্টোবর: রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ফের উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তীব্র সমালোচনা করেছেন।…

Suvendu Targets Mamata Over BJP Worker Assault: ‘Resign If You Have Any Shame’

Advertisements

কলকাতা, ৭ অক্টোবর: রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে ফের উত্তেজনার আঁচ ছড়িয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তীব্র সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিজেপি নেতাদের উপর ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ‘হুলিগানিজম’ বা ‘গুন্ডাবাজি’ ঢেকে রাখার প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন শুভেন্দু।

   

অধিকারী সোশ‌্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ‌্য করে বলেন, “আপনি কিছুই নন, শুধু একটি ‘ডিক্টেটর ইন ডিনায়াল’। যদি আপনার অন্তত কিছু লজ্জা থেকে থাকে, তাহলে পদত্যাগ করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি আপনার দলীয় কর্মীদের ‘গুন্ডাবাজি’ ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন তেমনই করে যান।”

শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য রাজ্যের রাজনৈতিক বাতাবরণে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজ্যে রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়ে চলেছে এবং তার জন্য সরাসরি দায়ী সরকার। আর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক নাটক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তবে শুভেন্দুর তীব্র মন্তব্যই এবারের ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বকে লক্ষ্য করেছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা নজরে এসেছে। বিশেষ করে নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় এই ধরনের ঘটনা আরও জোরালো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিজেপি নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের শাসক দল নিজস্ব দলীয় কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দেয় না এবং এই ধরনের আচরণকে ‘স্বাভাবিক’ বা ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে অস্বীকার করার চেষ্টা করে। তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু সরকার নয়, মুখ্যমন্ত্রীরই সচেতন অবহেলা এবং অনুমোদনের ফল।”

তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনিক যন্ত্রণা রাজনৈতিক দাপটের ছায়ায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না, যা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।