মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের নিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভা থেকেই এই সংগ্রামী ভাতার প্রতিশ্রুতি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আগাম জানিয়ে রাখলেন, ২০২৬ সালে যদি বিজেপি সরকারকে আপনারা ক্ষমতায় আনেন তাহলে তৃণমূল যে সমস্ত বিজেপি কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটিয়েছে, সেই সব কর্মীদের বিজেপি সরকার ভাতা দেবে। সেই ভাতার নাম সংগ্রামী ভাতা। শুধু তাই নয়, পাঁচ হাজার করে এই ভাতা পাবেন মিথ্যেয় মামলায় জেল খাটা বিজেপি কর্মীরা।
সেই সঙ্গে তিনি পুলিশের উদ্দেশেও কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন, যে তদন্তকারী অফিসাররা মিথ্য়া রিপোর্ট দিয়ে এদের গ্রেফতার করেছেন, তাঁদের নাম লেখা থাকল।” শুভেন্দুর বক্তব্য, ”এটা কোনও হুঁশিয়ারি নয়, এটা সতর্কবার্তা।” প্রসঙ্গত বিজেপি শিবিরের অনেকদিনের অভিযোগ তৃণমূল ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিজেপি কর্মীদের জেল খাটাচ্ছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মঞ্চ থেকে এই সংগ্রামী ভাতার ঘোষণা করলেন।
যদিও আদর্শ নির্বাচনী বিধির মধ্যে বিরোধী দলনেতা এইরকম প্রতিশ্রুতি কি দিতে পারেন? এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কুণাল ঘোষ যেমন কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ”মাসির যদি গোঁফ থাকত, তাহলে মেসোমশাই হত। ক্ষমতায় আসবেন না, বলে বসলেন ভাতা দেব। সুতরাং ক্ষমতা না এলে, দিতেও হবে না। মুখে লাগাম নেই।” সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে এই বক্তব্য বিবেচনা করে দেখার আহ্বান জানাবেন তৃণমূল শিবির।