বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে মান্যতা দিল না দেশের শীর্ষ আদালত। খারিজ হয়ে গেল প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ। প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩৯২৯টি শূন্যপদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিয়েছিলেন যে মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে নিয়োগে করতে হবে। সেই নির্দেশই বৃহস্পতিবার খারিজ করে দিল। সুপ্রিম কোর্টের নতুন নির্দেশ দিয়েছে যে ওই শূন্যপদগুলিতে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে নিয়োগ হবে।
এই রায়ের পর কি তৃণমূল সরকার একটু পালে হাওয়া পাবে, উঠেছে প্রশ্ন। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু পুরো শূন্যপদ পূরণ হয়নি। খালি রয়ে যায় ৩৯২৯টি পোস্ট। সেই শূন্যপদ নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, মামলাকারীদের মেধার ভিত্তিতে ওই পদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু সেই নির্দেশে না বলল সুপ্রিম কোর্ট।
নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যান ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে নতুন নিয়োগের জন্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। সেখানে শুধু ২০১৪ সাল নয়, ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে। সুপ্রিম আদালত সেই নির্দেশে খারিজ করে নতুন নির্দেশ দিল।