‘ঘোষবাবু’র ভিডিও নিয়ে সুকান্তের বিস্ফোরক মন্তব্য, শমীকের মুখে কুলুপ!

সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। (Dilip Ghosh) তবে, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিলীপ ঘোষের কার্যত…

Sukanta Majumdar Breaks Silence on Dilip Ghosh's Viral Video Scandal

সম্প্রতি দিলীপ ঘোষের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। (Dilip Ghosh) তবে, এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিলীপ ঘোষের কার্যত পাশে দাঁড়িয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। রাজ্য বিজেপির নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি, যা রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে(Dilip Ghosh) 

দিলীপ ঘোষ নিজে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, সুকান্ত (Dilip Ghosh) মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, “দিলীপের বিরুদ্ধে কি কোনও অভিযোগ রয়েছে?” সুকান্ত আরও বলেন, “দিলীপবাবু অভিযোগ করেছেন, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কি কোনও অভিযোগ আছে? তাহলে এত কিছু নিয়ে কেন আলোচনা করা হচ্ছে?” সুকান্তের এই মন্তব্যের মাধ্যমে একদিকে দিলীপের পক্ষ নিয়ে সোজাসুজি রাজ্যের রাজনীতি ও এর সীমানা নির্ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে।(Dilip Ghosh) 

   

বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন শমীক ভট্টাচার্য(Dilip Ghosh) কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সাধারণত, দলীয় বিষয় নিয়ে নেতারা সব সময় নিজেদের মতামত প্রকাশ করে থাকেন, কিন্তু শমীক একেবারে নীরব থাকায় তাঁর নীরবতা রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণের জন্য এক নতুন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, শমীকের নীরবতা তাঁর নেতৃত্বের প্রতি এক ধরনের অন্তর্দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত, অথবা তিনি চাইছেন এই বিতর্ক থেকে দূরে থাকতে।

এদিকে, দিলীপ ঘোষের পাশে দাঁড়িয়ে আরএসএসও জানিয়েছে যে, তারা(Dilip Ghosh) দিলীপের প্রতি সমর্থন জানায়। দিলীপ নিজে বলছেন, “যদি আমি তিনিও হই, তাহলে কি এমন ভিডিও বা ছবি তুলে রাজনীতি হয়? আর যদি মহিলার অভিযোগ থাকে, সেটা নিয়ে তদন্ত হোক। যা তিনি নন, সেটা ফরেনসিক পরীক্ষা হওয়া উচিত।” দিলীপের এই বক্তব্য অনেকেই সমর্থন করছেন, কারণ তিনি ব্যক্তিগত জীবন এবং রাজনীতির মধ্যে সীমারেখা রেখেছেন(Dilip Ghosh) 

সুকান্ত মজুমদারও এই বিতর্কে শান্তিপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি ভিডিওটি দেখিনি, আর আমার তাতে কোনো আগ্রহ নেই। তবে এখনকার সময়ের প্রযুক্তির যুগে কোনও ভিডিও নিয়ে খুব বেশি কথা বলা উচিত নয়। এ ধরনের ভিডিও নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন নয়। ব্যক্তিগত জীবনে কী করছেন, তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে পারি না, আর আমি সেটা না-ও করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিটি মানুষের নিজের ব্যক্তিগত জীবন আছে এবং সেটার প্রতি সম্মান থাকা উচিত।”

সুকান্ত আরও বলেন, “এটা যদি একটা ব্যক্তিগত বিষয় হয়, তাহলে সেটা কোনও রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হতে পারে না। দিলীপবাবু অভিযোগ করেছেন, এখন প্রশ্ন হলো, তাঁর বিরুদ্ধে কি কোনো অভিযোগ রয়েছে? যদি না থাকে, তাহলে কেন এত আলোচনা করা হচ্ছে?” সুকান্তের এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাজনীতির আড়ালে মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন(Dilip Ghosh) 

Advertisements

দিলীপ ঘোষের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রাজ্য বিজেপির মধ্যে যে নানা মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে, তার মধ্যে সুকান্তের বক্তব্য একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করার চেষ্টা ছিল। তিনি রাজনৈতিক দলীয় শৃঙ্খলা এবং ব্যক্তিগত জীবনকে একত্রিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, রাজ্য বিজেপির বর্তমান পরিস্থিতি এবং এই ঘটনার ফলস্বরূপ আগামী দিনে দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ কী হবে, তা নিয়ে অনেকের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে(Dilip Ghosh) 

এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদারের মতামত অনেকটাই রাজনীতির চরম বাস্তবতার কথা মনে করিয়ে দেয়। ভিডিও বিতর্কে একদিকে দিলীপ ঘোষের প্রতিবাদ, আর অন্যদিকে শমীক ভট্টাচার্যের নীরবতা—এই ঘটনাগুলো রাজ্য বিজেপির ভবিষ্যৎ কৌশল সম্পর্কে একটি নতুন প্রশ্ন তুলে ধরছে। বিজেপি নেতা এবং দলীয় শীর্ষ নেতাদের প্রতিক্রিয়া ভবিষ্যতে আরও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এবং আলোচনার জন্ম দিতে পারে।

রাজ্য বিজেপির মধ্যে যখন এক দিকে বিতর্ক চলছে, তখন আরএসএসের সমর্থন এবং সুকান্ত মজুমদারের বিবৃতি দিলীপ ঘোষকে এক ধরনের রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। তবে, সুকান্তের এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক ফাঁসির চেয়েও একটি ব্যক্তিগত সম্পর্কের সম্মান দেখাতে চেয়েছেন, যা রাজনীতিতে খুব কম দেখা যায়(Dilip Ghosh) 

এখন দেখা যাক, এই বিতর্কের পরবর্তী পর্যায়ে কী ধরনের রাজনৈতিক পটভূমি তৈরি হয় এবং শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান।