রাত পোহালেই চতুর্থ দফা লোকসভা ভোট। আর লোকসভা ভোটের নিজেদের শক্ত জমি ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল। সেই জন্যই আবার দলের অন্যতম বিশ্বাসী লোক সুব্রত বক্সীর ঘাড়ে দায়িত্ব। ভোটের মুখে পুরোনো কর্মীদের জন্য ফেরানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তৃণমূল। কারণ তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে দলের বেশ কিছু কর্মী এবং নেতারা এইবার ভোটে একদম মাঠে নামছেন না। অনেক কাউকেই দলের প্রার্থী করা হয়নি বলে অনেকেরই মুখ ভার আবার অনেকে দলের অন্দরে সম্মান পায়নি বলে বেঁকে বসেছেন, তাঁদের সবাইকে ফেরানোর দায়িত্ব পড়েছে দলের রাজ্য সভাপতির ঘাড়ে।
লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলাভিত্তিক নেতা-কর্মীদের একাংশের ভোটের কাজে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ পেতে থাকেন বক্সী। এর পরেই উদ্যোগী হয়ে ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের পার্টি অফিস থেকে বসে যাওয়া নেতাদের জেলাভিত্তিক তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন সুব্রত। সব নম্বর হাতের কাছে নিয়েই একে একে ফোন করতে শুরু করেন তিনি। তাঁকে শুনতে হচ্ছে অভিমানের গল্প। আবার কেউ কেউ দলের শক্তিশালী গোষ্ঠীদের কাছে ব্রাত্য হয়ে যাওয়ার গল্পও তাঁকে শুনতে হচ্ছে। তবুও তিনি শুনেছেন এবং সবাইকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন।
শোনা যাচ্ছে তিনি নির্দেশ দিচ্ছেন দলের স্বার্থে সব কিছু ভুলে ভোটের কাজে নামতে হবে। দল যাঁকে প্রার্থী করেছে, তাঁকে জেতানোর জন্যই লড়তে হবে। কোনও মনোমালিন্য থাকলে ভোটের পর মেটানো হবে। গত বারের তুলনায় ভোটের মার্জিন বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনও অজুহাত বরদাস্ত করা যাবে না। আজও দিদির ভরসা সুব্রত দা। সেই সুব্রতদাকে পারবে সবাইকে ফিরিয়ে আনতে? হয়ত সময়ই কথা বলবে।