কলকাতা পুরসভার ছুটি বিতর্কে শুভেন্দুর তীব্র আক্রমণ

কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) তীব্র আক্রমণ। কলকাতা পুরসভার হিন্দি মাধ্যম স্কুলে বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি…

Shuvendu's Strong Attack in Kolkata Municipal Holiday Controversy

কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) তীব্র আক্রমণ। কলকাতা পুরসভার হিন্দি মাধ্যম স্কুলে বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি হয়েছে। এর পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। এই সিদ্ধান্তকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, এই সিদ্ধান্তটি ধর্মীয় বৈষম্যের প্রমাণ।  

বুধবার সংবাদমাধ্যমের কাছে শুভেন্দু বলেন, ‘ইসলামিক দেশেও সবে বরাতে ১ দিন ছুটি দেয় কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে ২ দিন ছুটি দেন কেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘এটা এক ধরনের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা। হিন্দুদের ওপর আঘাত করা হচ্ছে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ 

   

শুভেন্দু (Subhendu Adhikari) আরও বলেন, ‘বিশ্বকর্মার ছুটি কেন বাতিল করা হলো? মুসলিমদের জন্য বাড়ানো হয়েছে কিন্তু হিন্দুদের জন্য কেন এমন সিদ্ধান্ত?’

এদিন কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শংকর ধাড়ার বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিশ জারি করেছেন পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন। এর পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, ওই নির্দেশিকা কাউকে কিছু না জানিয়ে জারি করা হয়েছিল।

এত কিছুর পর, সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, নির্দেশিকাটি পেয়েই তা তৎক্ষণাৎ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে বিরোধী পক্ষ দাবি করছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আরও গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা উচিত ছিল। তাদের মতে, এটি ভোটের আগে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে।

বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের পর কলকাতা পুরসভার এই পদক্ষেপকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের মন্তব্য শুরু হয়েছে। এক পক্ষ বলছেন, ধর্মীয় পক্ষপাতিত্ব বন্ধ করা উচিত। অন্যদিকে, শাসক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এটি সাধারণ প্রশাসনিক ভুল ছিল, যা দ্রুত সংশোধন করা হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষত, কলকাতার মতো বহুজাতিক শহরে যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন, সেখানে এই ধরনের পদক্ষেপের প্রভাব সরাসরি ভোটবাক্সে পড়তে পারে।

শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari) এই ঘটনাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্মীয় পক্ষপাতিত্বের পক্ষে আক্রমণ করেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্মীয় সম্প্রদায়ভিত্তিক রাজনৈতিক খেলায় মত্ত। তবে, কলকাতা পুরসভার এই সিদ্ধান্ত জনগণের কাছে আরও একটি প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে।’

এদিকে, কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, নির্দেশিকা জারির সময় কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে, এই ধরনের ভুল যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমন পরিস্থিতিতে, রাজ্যের রাজনীতির মধ্যে নতুন করে ধর্মীয় বিতর্ক শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ এবং কলকাতা পুরসভার পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।