Anis Khan Murder: আনিস খানের বাড়িতে অভিযান আইন মেনে হয়নি, স্বীকার করল রাজ্য

আনিস খানের বাড়িতে অভিযান আইন মেনে হয়নি। আদালতে তা স্বীকার করল রাজ্য। অভিযুক্ত পুলিশদের শাস্তির প্রয়োজন। যদিও আনিসকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে যায়নি পুলিশ তাই ৩০২…

আনিস খানের বাড়িতে অভিযান আইন মেনে হয়নি। আদালতে তা স্বীকার করল রাজ্য। অভিযুক্ত পুলিশদের শাস্তির প্রয়োজন। যদিও আনিসকে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে যায়নি পুলিশ তাই ৩০২ ধারা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

আদালত সূত্রে খবর, এদিন দুটি পর্বে মামলা চলে। প্রথম পর্বে রাজ্যের বক্তব্য শোনেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এরপর বিচারপতির বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছিল। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তিনি। এদিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখ্যোপাধ্যায় বলেন, যেভাবে আনিস খানের বাড়িতে ওই রাতে যে অভিযান চালানো হয়েছিল তা নিয়ম মেনে হয়নি। সেখানে যে সমস্ত পুলিশ অফিসাররা ছিলেন তাঁদের শাস্তির কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।

   

একইসঙ্গে অ্যাডভোকেট জেনারেলের কথায়, তিনি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করছেন এই মুহুর্তে রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে নিয়োগ বন্ধ রাখার প্রয়োজন রয়েছে। সেদিন বেআইনভাবে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সেদিন আনিস খানকে খুনের পিছনে পুলিশের কোনও উদ্দেশ্য ছিল না বলেও মত রাজ্যের আইনজীবীর। যেহেতু পুলিশের খুনের কোনও উদ্দেশ্যে ছিল না। তাই ৩০২ ধারা প্রযোজ্য হবে না।

রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়েছে, আনিস খানের খুনের সময় প্রত্যক্ষদর্শী আনিস খানের বাবা নয়। প্রত্যক্ষদর্শী তিন জন একজন হলেন আনিস খান। অপর দুই জন দুই পুলিশ কর্মী। যারা ওই দিন সিড়ি দিয়ে ওপরে উঠেছিল। সেই রাতে কোনও মারামারি বা ধস্তাধস্তির রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসেনি। যদি হত তাহলে পরিবারের সদস্যরাই তা শুনতে পেতেন। আনিস খানের পড়ে যাওয়ার শব্দ তাঁরা শুনতে পাননি।

যে পুলিশ অফিসাররা সেদিন আনিসের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন তাঁরা কেউই আনিস খানকে চিনতেন না। এমনকি ওই রাতে যে পুলিশ কর্মী আনিস খানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনিও আনিস খানকে চিনতেন না বলে জানিয়েছে রাজ্য।

আনিস খানকে চিনতেন তাঁর প্রতিবেশী জিয়ারুল হক। তার ভিত্তিতে আমতার ওসি এবং আরও এক পুলিশ অফিসারের নির্দেশে অভিযান চলেছিল।
এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়েছেন, তদন্তের যাত্রিক প্রকৃতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে। তদন্ত কোন পদ্ধতিতে এগিয়েছে? তা কিন্তু জানানো হয়নি। এমনকি পুলিশকে কী পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে? সেটাও এখনও অবধি স্পষ্ট নয়। সালেম খানের কেন পলিগ্রাফ টেস্ট করা হবে? তিনি একজন শোকাহত পিতা। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র ঘটনার তদন্ত করলেই হবে না। মানুশের যাতে বিশ্বাস জন্মায়, যাতে তদন্তের ওপর পরিবারের আস্থা থাকে সেই কাজ করতে হবে।

পরবর্তী শুনানি ৭ জুন। সেখানে মামলার পরবর্তী ধাপে দুই পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে।