JU: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ব়্যাগিং আটকাতে কমিটি গঠন করবে শিক্ষা দফতর

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়র ঘটনা নিয়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব়্যাগিং বিষয়টিকে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ব়্যাগিং সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশাবলি মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে…

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়র ঘটনা নিয়ে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব়্যাগিং বিষয়টিকে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ব়্যাগিং সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশাবলি মেনে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যাদবপুর নিয়ে পর্যালোচনা শিক্ষা দফতরের। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র নদিয়ার স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। ব়্যাগিং-এর অভিযোগ করেছেন মৃত ছাত্রের পরিবার। আজ সকালে স্বপ্নদীপের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যার ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে পুলিস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে স্বপ্নদীপের বাবাকে ফোন করেন। ফোন করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেন। স্বপ্নদীপের বাবা ছেলের র্যাোগিং-এর কথা জানান মুখ্যমন্ত্রীকে।

এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর। ব়্যাগিং আটকাতে একটা নিজস্ব কমিটি তৈরি করবে রাজ্য সরকার। ব়্যাগিং আটকাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে শিক্ষা দফতর সেই কমিটি তৈরি করতে চলেছে। সেই কমিটি মূলত ইউজিসি বা সুপ্রিম কোর্টের যে যে আইন রয়েছে সেই আইনগুলো মেনেই কার্যত এই কমিটি তৈরি হবে। এই নিয়ে একটা বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। কোন ছাত্র বা ছাত্রী যদি মনে করে সে ব়্যাগিং-এর শিকার হচ্ছে অথবা তার ওপর মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন হচ্ছে বা যেকোন রকমের অত্যাচার হচ্ছে; সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়কে বলেও কোন সুরাহা হচ্ছে না, বা হয়ত বিশ্ববিদ্যালয়কে বলতে পারছেনা সে, সেই ক্ষেত্রে সেই ছাত্র বা ছাত্রী কমিটির কাছে সে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবে। কমটির কাছে সে সরাসরি তার সমস্যার কথা জানাতে পারবে।

   

সেক্ষেত্রে কমিটি নির্দিষ্ট ভাবে গোটা বিষয়টা তদন্ত করবে, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সেটাও সেই সংস্লিষ্ট ছাত্র বা ছাত্রীকে জানানো হবে। ব়্যাগিং আটকাতে এই মুহূর্তে বড় সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা দফতর। রাজ্যে ব়্যাগিং-এর ঘটনা আটকানোই মূল উদ্দেশ্য হবে এই কমিটির। কেউ কোন ধরণের সমস্যার শিকার হলে তারা যাতে সেটা থেকে মুক্তি পায় তা দেখবে এবং নজর রাখবে এই কমিটি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই কমিটির মূল উদ্দেশ্য ব়্যাগিং আটকানো।