SSC Scam: দুর্নীতি থেকে মুক্ত পর্ষদ সম্ভব? মমতা সরকারের বিড়ম্বনা বাড়ালেন কল্যাণময়

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মেয়াদ শেষ হয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SEC Scam) সরাসরি নাম জড়িয়েছে তাঁর। শেষ দিনে তিনি আশাবাদী…

SSC Scam: দুর্নীতি থেকে মুক্ত পর্ষদ সম্ভব? মমতা সরকারের বিড়ম্বনা বাড়ালেন কল্যাণময়

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মেয়াদ শেষ হয়েছে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SEC Scam) সরাসরি নাম জড়িয়েছে তাঁর। শেষ দিনে তিনি আশাবাদী পর্ষদ কলুষমুক্ত হবে৷ এর জন্য সিবিআই তদন্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় ধরে সভাপতি পদে থাকার পর দুর্নীতির কোপে গত সপ্তাহেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়াদ বৃদ্ধি করেনি শিক্ষা দফতর। কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে ৬৯ বছর পার করায় নিয়ম মেনেই এই বদল করা হয়েছে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী পর্ষদ সভাপতির সর্বাধিক বয়স ৬৮ বছর অবধি হতে পারে৷ কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সরকার৷

গত এক বছরে আদালতের নির্দেশে চাকরি গেছে বহু জনের। এর মধ্যে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে ২৫ জনের চাকরি বাতিল করে বেতন বন্ধের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর নিয়োগের অভিযোগে চাকরি যায় ২৫ জনের৷

এর পর গ্রুপ ডি পদেই একসঙ্গে চাকরি খুইয়ে বসে ৫৭৩ জন৷ চলতি বছরেই ফেব্রুয়ারি মাসে সেই মামলায় রায় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর নিয়োগ হয়েছিল। এই মামলায় বেতন বন্ধের নির্দেশের পাশাপাশি বেতন ফেরতের নির্দেশ দেয় আদালত৷

Advertisements

এরই মধ্যে ২০ মে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিযোগ, প্যানেলে প্রথমে থাকা ববিতা সরকারের চাকরি না হয়ে কিভাবে তালিকা বদল করে মন্ত্রীর মেয়ের নিয়োগ হল? তাই চাকরি বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে দুই দফায় টাকা ফেরতের নির্দেশ দেওয়া হয়৷ এরপর জুন মাসের প্রথমেই বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে সিদ্দিক গাজি নামে একজনের চাকরি বাতিল করে আদালত৷ একাধিকবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছে কল্যাণময় নিজেই। এর পরেও তিনি আশাবাদী পর্ষদ কলুষমুক্ত হবে!

উল্লেখ্য, স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পর্ষদের তরফ থেকে নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে পর্ষদের আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ড করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের অনুমান, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগে সুপারিশ করেছে এবং নিয়োগে সরাসরি অনুমোদন মিলেছে পর্ষদের তরফে৷ তাই সমস্ত নথি ও আধিকারিকদের বয়ান সবটা যাচাই করে তদন্তের গতি বাড়াতে চায় সিবিআই।