SSC Scam: নজিরবিহীন ঘটনা। কলকাতা হাইকোর্ট রাতেই ফের বসছে। কারণ, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সিবিআই জেরার মধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর পরেই তথ্য বিকৃত হওয়ার আশঙ্কায় রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানান চাকরি প্রার্থীরা৷
তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে সমস্ত নথি সংরক্ষণের জন্য সিআরপিএফ মোতায়েন করা হোক৷ চাকরি প্রার্থীদের আশঙ্কা, স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে তা বিকৃত করা হতে পারে৷ এমনকি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়ে দেওয়া হতে পারে৷ তাই দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
আবেদন সেই মতো মামলার শুনানির অনুমতি মিলেছে। রাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে হতে পারে মামলার শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টে এমন ঘটনা বেনজির।
উল্লেখ্য, বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। মঙ্গলবার একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন তিনি। যেখানে মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর প্রাপ্ত নম্বর এবং মামলাকারীর প্রাপ্ত নম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে তুলে ধরছিলেন তিনি।
এরপর তাঁর ইস্তফা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে নথি সংরক্ষণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা৷
চাকরি প্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস ঘেরাও করে নিক সিআরপিএফ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসেও সিআরপিএফ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই আধিকারিক ছাড়া যাতে অন্য কাউকে প্রবেশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার না দেওয়া হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীরা।
চাকরীপ্রার্থীদের এই আবেদনে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে দেখার রয়েছে। বেনজির ভাবে এত রাতে মামলা দায়ের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আদালতের তৎপরতা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।