SSC Scam: পার্থ-অর্পিতা সব উগরে দিচ্ছে, ‘উত্তরবঙ্গের নেতাদের’ তালিকা বানাচ্ছে ইডি

শিক্ষাক্ষেত্রে বেআইনি নিয়োগের (SSC Scam) জন্য জেলায় জেলায় এজেন্ট বসিয়ে চলত টাকা তোলার কাজ। সেই টাকা চাইন সিস্টেমের মাধ্যমে নেতা হয়ে চলে যেত ওপর মহলে।…

SSC Scam: পার্থ-অর্পিতা সব উগরে দিচ্ছে, 'উত্তরবঙ্গের নেতাদের' তালিকা বানাচ্ছে ইডি

শিক্ষাক্ষেত্রে বেআইনি নিয়োগের (SSC Scam) জন্য জেলায় জেলায় এজেন্ট বসিয়ে চলত টাকা তোলার কাজ। সেই টাকা চাইন সিস্টেমের মাধ্যমে নেতা হয়ে চলে যেত ওপর মহলে। ধৃত অর্পিতা মুখ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে ইডির আধিকারিকরা। এবার সেই সূত্র ধরেই জেলায় জেলায় অভিযান শুরু করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। উত্তরবঙ্গ জুড়ে কাদের নাম জড়িত হতে পারে? পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই। চাকরি প্রার্থীরা টানা ধর্নায় সামিল।

SSC Scam: পার্থ-অর্পিতা সব উগরে দিচ্ছে, 'উত্তরবঙ্গের নেতাদের' তালিকা বানাচ্ছে ইডি

ইডি সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের কোন নেতাদের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল? কার কার বাড়িতে যাতায়ত ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের? সবটা জানতে চান ইডির আধিকারিকরা৷ কিন্তু প্রশ্ন হল শুধুই কী শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জড়িত? নাকি অন্য কোনও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

দার্জিলিং ও কালিম্পং জুড়ে হই হই পড়ে গেল। পাহাড়ি এলাকা গরম ! পড়ুন: 

চাকরি দুর্নীতিতে উত্তাল পাহাড়, ‘এজেন্ট মারফত টাকা আসত কলকাতায়’

সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের বহু ব্যাবসায়ীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কোনও ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর যোগ রয়েছে কি না, তা জানতে চাইছে ইডি। কোন ব্যবসায়ীদের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে যাতায়ত ছিল? সবটা জানতে চায় ইডি। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে ইডির নজরদারি। সন্দেহের তালিকায় যারা রয়েছেন, তাঁদের ওপর রয়েছে নজরদারিও৷ তৈরি হচ্ছে নামের তালিকাও।

Advertisements

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক মহলে ছড়িয়েছে ভয়। সর্বত্র ফিসফাস। পড়ুন: 

NBU: মমতা সরকারের আমলে শিক্ষা দফতরে বিপুল দুর্নীতি, গোয়েন্দা নজরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়

একইসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়ম ভঙ্গ করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে পিএইচডি ডিগ্রি দিয়েছেন। কার্যত নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে বিভাগীয় প্রধানকে সাতটি প্রশ্ন করেন তৎকালীন রেজিস্ট্রার। অন্যান্য পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে পিএইচ ডি পেতে গেলে অন্তত ৭৫% হাজিরা দিতে হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর উপস্থিতি একেবারেই শূন্য। ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এবারে হয়ত ইডির জেরার সামনে পড়ছেন সেই সময়ের রেজিষ্টার সহ প্রত্যেকেই।