SSC Scam: দুর্নীতিতে পাহাড় গড়েছে পর্ষদ, এক বছরের সভাপতি রামানুজ

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সরাসরি নাম জড়িয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে তাঁর। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির…

SSC Scam west bengal

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় সরাসরি নাম জড়িয়েছে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়৷ সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম রয়েছে তাঁর। পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই গতি বাড়াতেই নাভিশ্বাস সরকারের৷ জল্পনা অনুযায়ী কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে ছেঁটে ফেলা হল৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ছিলেন তিনি। আগামী এক বছরের জন্য সভাপতি পদে আনা হল তাঁকে।

এখানেই শেষ নয়৷ সূত্রের খবর, দুর্নীতিতে রাশ টানতেই একাধিক আধিকারিকদের বদল করা হয়েছে৷ নয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী এক বছর এই কমিটি কাজ করবে৷

সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করতে নেমে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ভবনে পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের একটি টিম৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় পর্ষদের অ্যাডমিন সহ সমস্ত আধিকারিকদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কর্মচারীদেরও৷ সিবিআইয়ের অনুমান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সুপারিশ পত্র পর্ষদ ভবনে পাঠানোর পর পর্ষদের তরফেই নিয়োগ হয়েছে। তাই উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ উদ্ধারের জন্যই ওই দিন পর্ষদ ভবনে উপস্থিত হয় সিবিআই৷

ওই দিনই পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে পর্ষদ ভবনে তলব করে সিবিআই৷ কিন্তু পর্ষদ ভবনে তিনি উপস্থিত হননি। বাধ্য হয়েই কল্যাণময়ের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই৷ সেখান থেকে নজরবন্দি করে পর্ষদ ভবনে আনা হয় কল্যাণময়কে। প্রায় ১০ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর একাধিক নথি সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যায়া সিবিআই৷

উল্লেখ্য, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিকবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই৷ দুর্নীতি নাম জড়িয়ে চাকরি খুইয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী এবং সিদ্দিক গাজিরা। এতে শাসক পক্ষের মুখ পুড়েছে৷ তাই স্বচ্ছতা আনতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে বদল করা হল৷

এর আগে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষক পর্ষদের সভাপতি থেকে সরিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে শাসক দলের বিধায়ককে। তাই তড়িঘড়ি ইমেজ বদলাতেই এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদে বদল আনা হয়েছে৷