দুর্নীতির (SSC scam) কারণে বাদ পড়েছেন যোগ্য প্রার্থীরা৷ অবিলম্বে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে৷ এই দাবিতে তিন দফায় মোট ৫৯১ দিন ধরে আন্দোলন জারি রেখেছেন চাকরি প্রার্থীরা। কিন্তু বুধবার যে বিস্ফোরক তথ্য চাকরি প্রার্থীরা সামনে আনলেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আন্দোলনরত হবু শিক্ষকদের বক্তব্য তাদের কাছে অযোগ্য চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে দালালদের যোগাযোগের সমস্ত তথ্য রয়েছে। সেই তথ্যই সামনে এনেছেন তারা।
আন্দোলনরত হবু শিক্ষকদের দাবি, প্রায় ৮০০০ হাজার ভুয়ো নিয়োগ ধরা পড়েছে। কিন্তু এখনও নিয়োগ তারা পাননি। দ্রুত দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছাতে হলে অযোগ্য প্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করুক তদন্তকারী সংস্থা। এবিষয়ে তথ্য প্রমাণ সামনে আনতেও রাজি রয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই ও ইডি৷ চাকরি প্রার্থীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, দুর্নীতি হয়েছে একেবারে সংগঠিতভাবে। দুর্নীতির জাল যে ঠিক কতদূর বিস্তৃত ছিল, তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। অভিযোগ, অযোগ্যরাই মিডল ম্যান হিসাবে কাজ করত৷
ইতিমধ্যেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের মামলায় ১২ জনের নাম যুক্ত করল সিবিআই৷ নবম দশম মামলায় প্রথম চার্জশিট। এর পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে আরও সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা করা হতে পারে। সেই তালিকায় রয়েছে, শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক কুমার সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, পর্ণা বসু, সমরজিৎ আচার্য, প্রসন্ন রায়, প্রদীপ সিং, জুঁই দাস, আজাদ আলি মির্জা, ইমাম মোমিন, রোহিত কুমার ঝাঁ। এদের মধ্যে একাধিক জন ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে৷ আগামী দিনে এই তালিকা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।