‘ডাইনি নাম চেয়ার থেকে’ এরকমই বিস্ফোরক ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেছেন বামপন্থী অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। তিনি সিপিআইএমের তারকা প্রচারক। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এক বছর পরেও তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তীব্র বিতর্ক। ঘটনার বর্ষপূর্তিতে শনিবার কলকাতা ছিল উত্তাল। সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অভিমুখে কালীঘাট অভিযান কর্মসূচিতে অংশ নেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
বিক্ষোভ সমাবেশে শ্রীলেখা বলেছেন, মানুষ যেদিন সাহস করে বলতে পারবে ডাইনি নাম চেয়ার থেকে, টেনে হিড়হিড় করে নামাতে হবে আমাদের। শ্রীলেখার ভাষণের মাঝেই বিক্ষোভকারীরা ডাইনি ডাইনি বলতে থাকেন। মু়খ্যমন্ত্রীর নামে চোখা চোথা মন্তব্য শুরু হয়ে যায়।
টলিউডের বিশিষ্ট অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বামপন্থী। তিনি রাজ্যের পূর্বতন শাসকদল সিপিআইএমের হয়ে প্রচার করেন। বামফ্রন্ট সরকার পতনের পর টনিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সিংহভাগ তৃণমূলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। কিছু সংখ্যক গিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে তারাও ফের তৃণমুলে সামিল হচ্ছেন। আর কিছু সংখ্যক অভিনেতা-অভিনেত্রী বামপন্থী।
শ্রীলেখা মিত্র যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার বার্তা দিয়েছেন তাতে টলিউড যেমন সরগরম তেমনই শোরগোল রাজনৈতিক মহল। শাসকদল তৃণমূল চুপ! জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতৃত্ব চুপ থাকার নীতি নিয়েছেন।
উল্লেখ্য জাস্টিস ফর আরজি কর প্রতিবাদে ছিলেন নদিয়ার কালীগঞ্জে বোমার আঘাতের নিহত তামান্না খাতুনের মা। তিনি বলেন, মেয়েকে মমতার গুন্ডারা খুন করেছে। গোটা রাজ্যে ওরা গুন্ডা তৈরি করেছে। তৃণমূলের অফিস থেকে বোমা এসেছিল সিপিআইএমের লোকদের মারার জন্য। আমার মেয়ে দেশের পতাকা চিনত। কেন আমার মেয়েকে মেরে দিল ওরা। আমার বিচার চাই। আমার দুটো হাত আমার মেয়ের রক্তে লাল হয়ে গিয়েছিল ওদের জন্য। তিনি বলেন, অভিযুক্তরা এখনো বাইরে। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তার লড়াই চলবে।